বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু-বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে চালানে চালানে আসছে গরু, মহিষ,বিদেশী মদসহ বিভিন্ন ধরণের চোরাইপণ্য। আর এসব পাচার কাজে জড়িত জড়িত বহুজন।
যারা এলাকায় অতি পরিচিত মূখ বা সীমান্তের এ পয়েন্টে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সচেষ্ট এবং সীমান্ত চোরাকারবার প্রতিরোধে কাজ করছেন,এমন সদস্যদের সহযোগী বলে অনেক ক্ষেত্রে পরিচয় দেন বলেও জানা যায়,খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
সূত্র আরো জানান, বাংলাদেশ- সীমান্তের ৩১ নম্বর পিলার থেকে ৫৬ নম্বর পিলারের দীর্ঘ প্রায় ৮৮ কিলোমিটার সীমান্তের ১৫ টি পয়েন্ট দিয়ে চোরাকারবার চলে।
আলোচিত পয়েন্টের মধ্যে ঘুমধুম নয়াপাড়া,তুমব্রু পশ্চিমকূল, তুমব্রু কোনার পাড়া ও বাইশফাঁড়ি পয়েন্ট।
এ পয়েন্ট গুলো দিয়ে ২৪ ঘন্টায় তাদের সুবিধা মতো সময়ে মিয়ানমার থেকে হরেক রকম চোরাইপণ্য বাংলাদেশের ভিতরে এনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাচার করে চোরাকারবারীরা।
বাইশফাঁড়ি গ্রামের আবদুর রহিম ও ছৈয়দুল বশর ( ছদ্মনাম) এ প্রতিবেদককে বলেন,তুমব্রু- বাইশফাঁড়ি পয়েন্ট এখন চোরাকারের স্বর্গরাজ্য। প্রতিদিন এ দু'পয়েন্ট দিয়ে যেমন-গরু,মহিষ
রিচকপি,বিভিন্ন ব্রান্ডের সিগারেট, মদ, ১২% ইয়াবা,কমান্ডো এনার্জি ড্রিংস এবং সুপারী আসছে।
তারা বলেন,এ তিন পয়েন্টে চোরাচালান কাজে সরাসরি জড়িত রয়েছেন বহুজন কারবারী। তাদের জন্যে বিপদের বন্ধু আছে ৪ জন।
যারা এলাকায় দানশীল ও জন সেবক হিসেবে পরিচিত। এছাড়া ৪ জন জনপ্রতিনিধি চোরাচালান কাজে সরাসরি জড়িত বলে গোয়েন্দা সূত্র গুলো জানান এ প্রতিবেদককে।
সূত্র দাবী করেন,ঘুমধুম ইউনিয়নের,হাবিবুর রহমান,রেজাউল করিম,মিজানুর রহমান,মন্টু,নাগু,ইসমাইল,মুস্তফিজ,ছেতাচিং,মো: আলী,শফিক,ইসলাম,রফিক,মিজান,
শফি,মাহমদুল হক,শাহ জাহান,রুহুল আমিন,মফিজ ও জাহাঙ্গির সহ আরো অনেকে।
তারা জানান,এ সব ব্যক্তি দিনে সাধু আর রাত নামলেই তৎপর হন চোরাকারবারে।
যাদের একটি সিন্ডিকেট গত কয়েক দিনে সীমান্তের ৩৬ পিলারের বিভিন্ন জায়গা দিয়ে ৬ শতাধিক গবাদি পশু ও মদ তুমব্রু খাল পার করে মক্কুর টিলা সংলগ্ন কাঠাল বুনিয়া ঘোনা হয়ে পশ্চিমে কুতুপালং,উখিয়া,কোটবাজার বা মরিচ্যা বাজার নিয়ে গেছে। যা প্রতিরাতে নিয়ে যাচ্ছে বলে সূত্র দাবী করছে। ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ বলেন, তুমব্রু ও বাইশফাঁড়ি সীমান্ত পয়েন্টের দু'টি এখন চোরাকারবারীদের জন্যে অনেকটা খোলা। প্রতিদিন এ পয়েন্ট দিয়ে গবাদী পশু,মদ,সিগরেটসহ নানা বার্মিজ পণ্য অবৈধপন্থায় দেশের ভিতরে আসছে। সীমান্ত এলাকার বেশকিছু জায়গা একেবারেই দূর্গম হওয়ার কারণে সীমান্ত রক্ষাই নিয়োজিত বিজিবি সদস্যরা অবিরাম ভাবে চোরাচালান ঠেকাতে ব্যাপক চেষ্টা করেও পারছেনা পুরোপুরি চোরাচালান ঠেকাতে।