নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের তমব্রু এলাকার ৩৫/৩৬ সীমান্ত পিলারের মধ্যে খান দিয়ে রোববার সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পযর্ন্ত হাজার হাজার রাউন্ড গুলি এবং শতশত মর্টারশেল বিস্ফোরণের বড় শব্দ তমব্রু এলাকায় এসে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করে বলে সীমান্তবর্তী অনেক মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
সুত্রে আরো জানা যায় মিয়ানমার থেকে আসা এক রাউন্ড গুলি তমব্রু এলাকার বশিরের ঘরের উপরে এসে পরে,আরেক টি আজিজের দোকানের উপড়ে টিনের চালের উপড়ে আছড়ে পড়ে,তবে এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ধারনা করা হচ্ছে মিয়ানমারের ভিতরে রোববারের তুমুল গোলাগুলির ঘটনা সম্ভবত সে দেশের সেনাবাহিনী এবং বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের অভ্যন্তরীর সমস্যা নিয়ে ঘটেছে,এতে হতাহতের সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
তমব্রু ৩নং ওয়ার্ডের স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ আলম জানান,সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা পযর্ন্ত কম করে হলেও আনুমানিক ৮/১০ রাউন্ড গোলাগুলি এবং বিপুল পরিমাণ মর্টারশেল বিস্ফোরণের বিশাল শব্দ তমব্রু এলাকায় এসে মানুষের মাঝে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করে,উক্ত আওয়াজ গুলো মিয়ানমারের সামান্য ভিতর থেকে আসে এবং সীমান্তের কাছাকাছি থাকা স্থানীয় চাকমা পাড়ায় বসবাস কারি অনেকেই ভয়ে পাড়া ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান।
তমব্রু বাজার এলাকার ব্যাবসায়ী সরোয়ার বলেন,মিয়ানমারের সামান্য ভিতর থেকে আসা এই যাবতকালের সর্বোচ্চ গোলাবারুদ বিস্ফোরণের শব্দ আসার কারনে তিনি সহ অনেকেই দোকান পাট বন্ধ করে দূরত্বে চলে যান।
তমব্রু এলাকার স্থানীয় সংবাদ কর্মী মাহমুদুল হাসান তার ফেসবুক স্ট্যাটাস এ লিখেন,সীমান্ত পরিস্থিতি ভালো নয়,সবাই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলবেন।
এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন,তিনি নিজ কানে শুনেছেন সীমান্ত দিয়ে আসা বিস্ফোরণের বিশালাকারের শব্দ গুলো।