রোববার ৪ ফেব্রুয়ারি রাত ২টা ৪৫ মিনিট থেকে ঘুমধুম ইউনিয়নে তমব্রু এলাকার বাংলাদেশ - মিয়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি রাইট ক্যাম্প ২ নামক এলাকার সীমান্ত পিলার ৩৪ এলাকা দিয়ে এই রিপোর্ট লিখার সময় রাত ৭টা ৪০ মিনিট পযর্ন্ত উক্ত এলাকা দিয়ে স্বরণ কালের সর্বোচ্চ গোলাগুলি এবং মর্টারশেল সহ বিভিন্ন ভয়ানক গোলাবারুদ বিস্ফোরণের ভয়ংকর শব্দ তমব্রু এলাকায় এসে মানুষের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। মিয়ানমারের সল্প ভিতরে চলা বিদ্রোহী সশস্ত্র গ্রুপ আরকান আর্মি এবং সেনাবাহিনী,বিজিপি,বিমান বাহিনীর সঙ্গে চলা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ব্যাবহারির মর্টারশেল,গুলির অনেক অংশবিশেষ তমব্রু এলাকায় এসে পড়েছে এতে ঘুমধুম ১নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা প্রবীর চন্দ্র ধর( ৫৫) মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।তমব্রু ২নং ওয়ার্ডের বতর্মান ইউপি সদস্য মোঃ শফিকের বাড়ির ওঠানে ভোর রাতের দিকে একটি মর্টারশেল এসে পড়ে,অপরদিকে জলপাই তলী এলাকার সাইফুলের শয়নকক্ষের টিনের চাল চিদ্র করে গভীর রাতে মর্টারশেলের অংশ পড়ে, তবে এতে কোন জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানা যায়।চলতি ভয়ংকর সংঘর্ষের কারনে ঘুমধুম ইউনিয়নের মোট ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে,সীমান্ত এলাকার স্কুল গুলো সীমান্তের কাছাকাছি হওয়ার ফলে কোমলমতি শিশুদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে। সীমান্ত এলাকার কাছাকাছি এসে সকাল ১২টা থেকে বিকেল ৫টা ৩০ মিনিট পযর্ন্ত মিয়ানমার বিমান বাহিনীর যুদ্ধ হেলিকপ্টার এবং বিমান অনেকবার কাছাকাছি এসে বহু গোলাবারুদ নিক্ষেপ করছে প্রতিপক্ষ আরকান আর্মির অবস্থানে,ধারণা করা হচ্ছে ঐ গোলাবারুদের নিক্ষেপের ফলে আরকান আর্মির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে? অপর দিকে বিদ্রোহী সশস্ত্র সংঘটন আরকান আর্মির সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষে টিকতে না পেরে মিয়ানমার বিজিপির প্রায় ৫৭ সদস্য তমব্রু এলাকার বিজিবি ক্যাম্প এলাকায় দিনের বিভিন্ন সময়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে এদের মধ্যে অনেকেই আহত অবস্থায় রয়েছে। এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে,তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তমব্রু ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আলম বলেল,এলাকার ৪০% মানুষ ভয়ে পাশ্ববর্তী এলাকায় চলে গেছেন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে।ঘুমধুম এলাকার সংবাদকর্মি মাহমুদুল হাসান জানান,তাদের এলাকায় জীবনের প্রথম এরকম ভয়াবহ পরিস্থিতি আগে কখনও হয়নি তিনিও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পাশ্ববর্তী উখিয়ায় চলে গেছেন।