নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্তে ৭দিন পযর্ন্ত কোন বিস্ফোরণ শব্দ ছিলনা,এতে মানুষের মাঝে ফিরতে শুরু করেছিল স্বস্তি। সোমবার ভোর ৫টা ৫০মিনিট থেকে,জামছড়ি,ফুলতলি,দৌছড়ি ইউনিয়নের পাইনছড়ি পযর্ন্ত প্রায় ছয় ঘন্টা কিছুক্ষণ লাগাতার,আবার কিছু সময় থেমে থেমে অগণিত মটারর্শেল এবং গুলি ফুটার আওয়াজ বাংলাদেশের প্রায় ২ কিলোমিটার অভ্যন্তরে এসে আতঙ্ক সৃষ্টি করে মানুষের মাঝে। সীমান্তের কাছে বসবাসরত,মোঃ রহমান,কামাল হোসেন,ফয়েজ হাসান, আব্দুস সালাম এবং শোয়েবের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানাগেছে, নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ৪৪,৪৮,৫১ পিলারের মাঝামাঝি জায়গা দিয়ে অগণন বিস্ফোরণের শব্দ তারা নিজ কানে শুনেছেন এবং ভয়ে আছেন তারা, বিস্ফোরিত শব্দগুলো মায়ানমারের কিছুটা ভেতর থেকে এসে বাংলাদেশের দুই কিলোমিটার ভিতরে পর্যন্ত মাটি কাপিয়ে তুলছে। শব্দগুলো তীব্রতা মাঝেমধ্যে অনেক বেশি হয় আবার মাঝে মাঝে অল্পমাত্রার হয়,এমন ভয়ানক বিস্ফোরণের শব্দে উক্ত জনপদে থাকা হাজারো মানুষের মধ্য আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ৮নং জামছড়ি ওয়ার্ডের স্থানীয় ইউপি সদস্য সাবের বলেন,আমি দুপুর ১টা পযর্ন্ত এলাকায় অবস্থান করা পযর্ন্ত আমিও শুনতে পেয়েছি মিয়ানমারের ভিতর থেকে আসা গোলাবারুদ বিস্ফোরণের বিকট শব্দ গুলো। জামছড়ির মোঃ রহমান জানান সন্ধ্যা ৫ টা ৩০ মিনিট থেকে ৪৫ পিলার দিয়ে ৬টা ২৫ মিনিট ধরে মিয়ানমার অভ্যন্তর থেকে বড় বড় বিস্ফোরিত আওয়াজ বাংলাদেশের ভিতরে এসে মাটিতে কাপন সৃষ্টি করেছে, এতে রাতের জামছড়িতে আতঙ্ক শুরু হয় মানুষের মধ্যে। নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেল,বিভিন্ন প্রকার গোলাবারুদ বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জামছড়ি এলাকা,এ খবর তিনি শুনেছেন বিভিন্ন মাধ্যমে,তবে আতঙ্ককের কিছু নেই যা হচ্ছে সব মিয়ানমারের অভ্যন্তরে।