বাজারে দাম বেড়েছে পেঁয়াজ ও সবজির। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম। শুক্রবার (২৪ জুন) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এ চিত্র উঠে এসেছে।
বাজারে বেড়েছে সবজির দাম। এসব বাজারে শসা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, করলা ৭০, চাল কুমড়া পিস ৪০, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০, চিচিঙ্গা ৫০, পটল ৫০, ঢেঁড়স ৫০, কচুর লতি ৬০, পেঁপের কেজি ৫০, বটবটির কেজি ৬০, ধুনধুলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা।
১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আল-আমিন বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। বৃষ্টির কারণে সবজির সরবরাহ কম। সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে।
এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ২০ টাকা। শুকনা মরিচের কেজি ৪০০ টাকা।
বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা। আর একটু ভালো মানের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। বাজারে রসুনের দাম কমেছে। এসব বাজারে রসুনের কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। বাজারে চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা।
১১ নম্বর বাজারের পেঁয়াজ-রসুন বিক্রেতা মো. কবির বলেন, বৃষ্টির কারণে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কম। এ কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।
বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এসব বাজারে দেশি মুশুরের ডালের কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মুশুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। প্যাকেট আটার কেজি ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। বাজারে ভোজ্য তেলের লিটার ২০৫ টাকা। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন ১৬০ ও দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৯০ টাকা।
বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকা। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়।
১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা রুবেল বলেন, মুরগির দাম বাড়েনি। আগামী সপ্তাহে বাজারে মুরগির দাম বাড়ার সম্ভাবনা আছে।