বান্দরবানের রুমা উপজেলায় পাইন্দু ইউনিয়নের দুর্গম কুত্তাঝিড়ি এলাকা থেকে গত রোববার গোয়ান্দা তথ্যের ভিত্তিতে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বিশেষ অভিযান পরিচালনার সময় কেএনএ'র একটি গোপন আস্তানার সন্ধান পেয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করলে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর উপস্থিত টের পেয়ে সেনাবাহিনীর ওপর গুলিবর্ষণ করে। এতে করে কেএনএ'র সশস্ত্র সন্ত্রাসী ও সেনাবাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময়ে ঘটনায় তিনজন কেএনএ সন্ত্রাসী ঘটনাস্থলে নিহত হয় এবং কয়েকজন সন্ত্রাসী গহীন জঙ্গলে পালিয়ে যায়।
আইএসপিআরের সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান এর এক স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সূত্রে জানায়, ঘটনারস্থলে তল্লাশি চালিয়ে সেনাবাহিনী কেএনএ সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত ১টি চাইনিজ রাইফেল,২টি একনলা বন্দুক, বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, ইউনিফর্ম, বেতারযন্ত্র, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ও ঔষুধসহ বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করে। পালিয়ে যাওয়া কেএনএ সন্ত্রাসীদের সন্ধানে সেনাবাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে।
আজ সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে পুলিশের একটি দল লাশ উদ্ধার উদ্ধার করে রুমা সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। পরে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সোহরাওয়ার্দী।
নিহতদের পরিচয় গোয়েন্দা সূত্রে জানায়, সারন পাড়ার বাসিন্দা মৃ. থংনিয়ার বম এর ছেলে প্হেন খুপ বম(৬৫) , হ্যাপিহীল পাড়ার বাসিন্দা ত্লোয়াং থন বম এর ছেলে মেসি ভানলাললিয়ান বম (২২)ও রোয়াংছড়ির সুয়ানলু পাড়ার বাসিন্দা পিতা ভানসাং বম এর মেয়ে এলি ভানজির পার বম(১৮)।
রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সোহরাওয়ার্দী এ ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।