দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন। ৬ ডিসেম্বর শনিবার সকাল থেকে সারা দিন ১৯৬ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে দুর্গম ৯৮টি ভোটকেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপারসহ ভোটের যাবতীয় উপকরণ আগে-পিছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পাঠানো হয়।
এদিকে দীঘিনালা ও লক্ষ্মীড়ির দুর্গম ৩টি ভোট কেন্দ্রে হেলিকপ্টারে পাঠানো হয়েছে ভোটের উপকরণ ও জনবল । অপর ৯৮টি কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ও ভোটের যাবতীয় উপকরণ পাঠানো হলেও ভোটের দিন সকালে যাবে ব্যালট পেপার, এমনটি জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. কামরুল আলম।
খাগড়াছড়ি আসনে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীরা হলেন, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মিথিলা রোয়াজা (লাঙ্গল), তৃমূল বিএনপির প্রার্থী উশ্যেপ্রু মারমা (সোনালী আঁশ) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী মো. মোস্তফা (আম প্রতীক)।
খাগড়াছড়ি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, খাগড়াছড়ির দুইটি উপজেলার তিনটি ভোট কেন্দ্রে লোকবল ও নির্বাচনি হেলিকাপ্টারে পৌছানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, ভোটারবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে সেনা ও বিজিবি’র স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ চার স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সংসদীয় আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ১৫ হাজার ৪১৯ জন। তার মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৫৩ হাজার ২৮৫ জন আর পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬২ হাজার ৬১। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার দুইজন। নতুন ভোটার ৭৩ হাজার ৬০৩ জন। খাগড়াছড়ি আসনের মোট ভোটারের প্রায় অর্ধেক উপজাতি।
খাগড়াছড়ি আসনে বিএনপির পাশাপাশি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপ ভোট বর্জন করে ভোটারদের ভোট না যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। ফলে ভোট নিয়ে নানা আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যে জেলার লক্ষ্মীছড়িতে নৌকার প্রার্থী ও পানছড়িতে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী প্রচারণায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। দুটি হামলার ঘটনার জন্য ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপকে দায়ী করেছে।