নাইক্ষ্যংছড়ির পার্শ্ববর্তী রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গর্জনিয়া ফইজুল উলুম ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার জমি দখল করে নির্মাণ করা দোকান ঘর উদ্ধারের দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারী) বেলা ১১ টায় ইউনিয়নের গর্জনিয়া বাজারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
তাদের দাবী অবৈধ দখলদার থেকে মাদ্রাসার দোকান ঘর তথা (জমি) উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকার কথা জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শফিউল হক চৌধুরী জানান- তৎকালিন মাদ্রাসার সহ-সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন কোম্পানী ও তৎকালীন অধ্যক্ষ মৌলানা মোঃ আইয়ুব এর আমলে মাদ্রাসার জমিতে চুক্তিভিত্তিক দোকান ঘর করেছিলেন। মাদ্রাসাটির বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি কচ্ছপিয়া ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান আবু মো.ইসমাঈল নোমান। তিনি মাদ্রাসার সব দোকানের ভাড়াটিয়াকে মাদ্রাসার সঙ্গে নতুন ভাবে চুক্তি করতে বললে সেলিম নামের এক ব্যক্তি তা করছেন না।
এ বিষয়টি অভিযুক্ত মোঃ সেলিম থেকে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন গত ৬ বছর আগে সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন কোম্পানি থেকে তিনি ৫০ হাজার টাকা সেলামি দিয়ে ভাড়া নেন। বর্তমান মাদ্রাসার সহ-সভাপতি চেয়ারম্যান নোমানসহ কর্তৃপক্ষ দোকানের মালিকানা দাবি করে আমার কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা সেলামি দাবী করছেন। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক সেলিম উদ্দিন বলেন, দোকান ঘরটির বিষয়ে গত ১৯ ফেব্রুয়ারী হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি-দোকান ঘর দখলের চেষ্টা ও চাঁদা দাবী করেছে মর্মে চেয়ারম্যান আবু মোঃ ইসমাইল নোমান এর বিরুদ্ধে কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেলে মিথ্যা ও বৃত্তিহীন মানহানিকর সংবাদ সম্মেলন করে অনলাইন পোর্টাল সিবিএন এর মাধ্যমে ভিডিও প্রতিবেদন ও দৈনিক কক্সবাজার এবং আজকের কক্সবাজার পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেন। এ কারণে ২১ ফেব্রুয়ারী আত্র মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন ও সংবাদ প্রকাশে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন কোম্পানি জানান,আমার সাথে অভিযুক্ত দোকানদার সেলিমের সাথে কোন প্রকার চুক্তি হয়নি। নির্বাচনে আমার প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে এসব করছে। তিনি আরো বলেন মহান একুশে ফেব্রুয়ারির এইদিনে ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে মানববন্ধন করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ দিনটিকে কলংকিত করেছে। জমি ও দোকান ঘরটি হিন্দু সম্প্রদায়ের তারাই প্রতিবাদ করছে। এখানে আমাকে জড়িয়ে যারা এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন আমি তাদের জন্য আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করব। এদিকে এলাকার সুশীল সমাজের দাবী এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হোক। অন্যথায় হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হওয়ার আশংকা রয়েছে।