আজ সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে বান্দরবান ভ্রমণে পর্যটকদের জন্য ৩০ শতাংশ ছাড়

এইচ এম সম্রাট,বান্দরবান : | প্রকাশের সময় : রবিবার ১৮ জুন ২০২৩ ০৮:৫৩:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

এবারে ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে বান্দরবান ভ্রমণে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের জন্য ১০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় ঘোষনা করেছে আবাসিক হোটেল,মোটেল ও কটেজের মালিক পরিবহন কতৃপক্ষ।

রুপের রানী খ্যাত বান্দরবানে প্রকৃতিপ্রেমী ও ভ্রমণপ্রত্যাশীদের জন্য এযেন এক প্রাকৃতিক ভূস্বর্গ। ফলে বছরজুড়ে কমবেশি ভ্রমণপিপাসুদের পদচারণায় মুখরিত হয় উঠে জেলার অধর্শতাধিক  দর্শনীয় স্থান। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে পাহাড় যেন ফিরে পায় পূর্ণ যৌবন। মেঘ, বৃষ্টি, কুয়াশাচ্ছন্ন সবুজের মনোমুগ্ধকর এই প্রাকৃতিক রূপ মুহূর্তেই বিমোহিত করে তোলে পর্যটকদের। তাইতো বার বার পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকে পাহাড়ী কন্যা বান্দরবান।

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন পরিচচলিত জনপ্রিয় পর্যটন স্পষ্ট নীলাচল ও মেঘলা পর্যটনকেন্দ্রের প্রবেশ ফি: ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এই সুযোগ ঈদের ছুটি থেকে শুরু হয়ে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকবে। এছাড়া আবাসিক হোটেলগুলোতেও ক্ষেত্র বিশেষে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ এবং পর্যটকবাহী গাড়িতে (চাঁদের গাড়ি) ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

বান্দরবান জিপ-মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সভাপতি নাছিরুল আলম বলেন, আগামী ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১লা জুলাই থেকে পরর্বতী এক মাস বান্দরবানে আগত পর্যটকদের জন্য গাড়িতে ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বান্দরবান হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি অমল দাশ বলেন, বান্দরবান ভ্রমন পিপাসুদের সুবিধার্থে আগামী জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত  সব আবাসিক হোটেলে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার জন্য হোটেল ব্যবসায়ীদের মধ্যে আলাপ চলছে। সভায় সবার আলোচনা সাপেক্ষে এই ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি  বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে বিপুল পরিমান পর্যটকের সমাগম ঘটাতে নীলাচল ও মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রে ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।

এদিকে জঙ্গী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী কেএনএফ দমেন আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকায় জেলার রোয়াংছড়ি,রুমা ও থানছি এই  তিন উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণের উপর জারী করা নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকলেও বান্দরবান সদর, আলীকদম, লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ির দর্শনীয় স্থান ও পর্যটন কেন্দ্র গুলো উন্মুক্ত রয়েছে।