বিএনপির মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণ মামলায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বরুমচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল ইসলাম চৌধুরী (৭৬)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারী) দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য। গত বছরের ৭ অক্টোবর বিএনপি নেতা তৌহিদ মিয়া বাদী হয়ে আনোয়ারা থানায় একটি বিস্ফোরক মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় শামসুল ইসলাম চৌধুরী ১৫ নম্বর আসামী। বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ।
জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল ইসলাম চৌধুরী ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার বরুমচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৭ অক্টোবর বিএনপি নেতা তৌহিদ মিয়া বাদী হয়ে ১১২ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে আনোয়ারা থানায় একটি বিস্ফোরক মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় শামসুল ইসলাম চৌধুরী ১৫ নম্বর আসামী।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আনোয়ারা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের প্রায় ৫০০-৬০০ শতাধিক নেতাকর্মী পিএবি সড়কের কালাবিবির দিঘির মোড়ে সমাবেশের জন্য সমবেত হলে এজহারনামীয় আসামিরা দেশি-বিদেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে, কিরিচ, লোহার রড এবং লাঠিসোটা নিয়ে সমাবেশে সমবেত বিএনপির নিরস্ত্র নিরীহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। হামলায় ১৮-২০ জন বিএনপি নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়ে রাস্তায় পড়ে যান। এ সময় বাদী তৌহিদ মিয়া এবং নয়ন নামে বিএনপিকর্মীকে মোহাম্মদপুর পাহাড়ের টিলায় নিয়ে যায় আসামিরা। পরবর্তীতে পুলিশের হস্তক্ষেপে উদ্ধার হয়ে দুই মাস চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর বাড়ি ফেরেন তারা।
এ মঙ্গলবার দুপুরে বরুমচড়া সাওদাগর দিঘিরপাড়স্ত ইউনিয়ন পরিষদে ইউপি সদস্যদের সাথে নিয়মিত বৈঠককালে আনোয়ারা থানা পুলিশ চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেন।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম বিস্ফোরকদ্রব্য মামলার এজাহারভুক্ত আসামী। গ্রেপ্তারের পর তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।