বাংলাদেশ জাতীয় দলের জিমন্যাস্টদের নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় হাইপারফরমেন্স জিমন্যাস্টিকস প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশন। এতে অংশ নিচ্ছে ১১ জন জিমন্যাস্ট, যাদের ১০ জনই কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী। দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশ্যে তারা যাত্রা শুরু করে গত ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার। আগামী ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রশিক্ষণার্থীরা সেখানে জিমন্যাস্টিকসের উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিবে। এসময় দলটির সাথে সার্বক্ষণিক অবস্থান করবেন বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশনের জাতীয় কোচ দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক চো সুং ডং।
কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের জিমন্যাস্ট ১০ জনের নাম হলো রাজীব চাকমা, উহাইমং মার্মা, মেনটন টনি ম্রো, প্রেনথৈ ম্রো, মংচিং প্রু ত্রিপুরা, উখিমং চাক, জীবন ত্রিপুরা, উটিং ওয়াং মার্মা, ওয়ে ওয়ে সাই মার্মা ও তড়িৎমোহন তঞ্চঙ্গ্যা।
উচ্চতর এই প্রশিক্ষণে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি স্কুল থেকে ১০ জন শিক্ষার্থী কীভাবে চান্স পেল এই প্রশ্নের উত্তরে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ সালেহ আহমেদ বলেন, ‘অলিম্পিকে সোনা আমরা জিতবই’এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে দীর্ঘ এক যুগ ধরে আমাদের জিমন্যাস্টরা নিয়মিত অনুশীলন করে আসছে এবং ইতোমধ্যে তারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন পদকও পেয়েছে। এখন তাদের বিভিন্ন উচ্চতর প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। তাই বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশনের প্রতি আমরা আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের জিমন্যাস্টদের সুযোগটি দেয়ার জন্যে।
উল্লেখ্য, জিমন্যাস্টিকসে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের সাফল্যযাত্রা শুরু হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই—২০১৮ সালে ১৫ তম সিঙ্গাপুর জিমন্যাস্টিকস ওপেন চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্চ পদক অর্জন। ২০১৯ সালে ১৬ তম সিঙ্গাপুর ওপেন জিমন্যাস্টিক চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ দল অর্জন করে ১৩টি গোল্ড ৫টি সিলভার ও ৭টি ব্রোঞ্চ। এর মধ্যে কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের শিক্ষার্থীরা পায় ৯টি গোল্ড ৫টি সিলভার ও ৭টি ব্রোঞ্চ। বাংলাদেশের অনুষ্ঠিত ২০২১ সালে ৫ম সেন্ট্রাল সাউথ এশিয়ান জিমন্যাস্টিক চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের হয়ে কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের রাজিব চাকমা দুটি ইভেন্টের একটিতে রৌপ্য ও অন্যটিতে ব্রোঞ্চ পদক অর্জন করে। এছাড়াও সম্প্রতি দেশে অনুষ্ঠিত শেখ কামাল ২য় বাংলাদেশ যুব গেমস ২০২৩-এ ১১টি ক্যাটাগরিতে মোট ৫০টি পদকের ৩৪টি অর্জন করে কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের শিক্ষার্থীরা।