চট্টগ্রাম নগরীর ৮ নং শুলকবহর ওয়ার্ডের মুন্সি পুকুর পাড় এলাকার হামদু মিয়া লেইনে এক মহিলার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে স্থানীয় ১০ টি পরিবার। ওয়াসার পাইপলাইন ঠিক না থাকায় পানির কষ্টে দিনাতিপাত করছেন অত্র পরিবারগুলো।বাসিন্দাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওয়াসার সাড়া মেলে।নগরজুড়ে ওয়াসা কর্তৃক জাইকার অধীনে ওয়াসার পুরাতন সংযোগস্থলে নতুন পাইপলাইন বসানোর কাজ করতে আসনে জাইকার প্রকৌশলী- কর্মীরা,২৯ ফুট দৈর্ঘ্য রাস্তার প্রায় ১ তৃতীয়াংশ রাস্তা খুড়ে পাইপ বসানোর কাজ সম্পাদন করার পরে বাঁধ সাধেন দক্ষিণ শুলকবহর মহল্লার শহর মুল্লুকের বাড়ির বাসিন্দা দিলওয়ারা বেগম।তিনি দাবী করেন চলাচলের রাস্তায় তার ক্রয়কৃত জায়গা রয়েছে তাই তিনি পাইপলাইন যেতে দিবেননা।
শহর মুল্লুক সওদাগরের বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসাইন টিটু জানান,নাগরিকদের সুবিধার্থে ওয়াসা নতুন পাইপ লাইন বসাতে এলে উক্ত মহিলা বাধা দেয় এবং আমরা প্রতিবাদ করলে ৯৯৯ এ মিথ্যা অভিযোগ করে আমাদের হয়রানি করতে থাকেন বারবার।
উক্ত মহিলার দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ২০০৪ সালে মরহুম কামাল আহমদ নামে (মহিলা দিলওয়ারা বেগমের স্বামী) রাউজান নিবাসী ত্রিশংকর বড়ুয়ার নিকট হতে ২ তলা ঘরসহ ক্রয় করেন।
দক্ষিণ শুলকবহর মহল্লার শহর মুল্লুক সওদাগরের নিকট হতে রাউজান প্রবাসী ত্রিশংকর বড়ুয়া ১৯৯৭ সালে বিএস ৮১ নং খতিয়ানের বিএস ১৬৯৫/১৬৯৬ দাগ হতে ১.৫ গন্ডা জায়গা ক্রয় করে পুকুর ভরাট করে সম্পূর্ণ জায়গার উপর ২ তলা ঘর নির্মাণ করেন।ঘর নির্মাণ দ জায়গা ক্রয় করার সময় শহর মুল্লুকের সাথে চুক্তিপত্র সম্পাদনকালে উভয়পক্ষ চলাচলের জন্য ইজমেন্ট রাইট অনুযায়ী ৮/২৯ দৈর্ঘ্য-প্রস্থ রাস্তাও চুক্তিপত্রে উল্লেখ করা হয়।সেই চলাচলের রাস্তা দিয়ে নাগরিক সুবিধার জন্য যাবতীয় সুযোগ সুবিধা(পানি,গ্যাসসহ আনুষাঙ্গিক) স্থাপন ও নির্বিগ্নে সরবরাহ করা যাবে যাতে কেউ বাধা প্রদান করলে (১৮৮২ সালের ইজমেন্ট রাইট এ্যাক্ট এর ৪ ধারা এবং ১৯০৮ সালের তামাদি আইনের ২৬ ধারা ) পরিপন্থি।
তিনি আরও বলেন, এ নিয়ে ওয়াসার লোকজন ২বার এসে কাজ করতে না পেরে ফেরত যান।তাই আমরা প্রথমে মহল্লা কমিঠির নের্তৃবৃন্দকে জানাই,উনাদের পরামর্শে,স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে জানাই,এরপর আমরা ওয়াসাকে লিখিত অভিযোগ করি,৯৯৯ এ কল করে বারবার হয়রানি থেকে বাঁচতে সংশ্লিষ্ট পাচঁলাইশ থানা ও উর্দ্ধতন প্রশাসনকে জানাই।
ওয়াসার অধীনে জাইকার প্রকৌশলীগণ আবরও ১৩ জানুয়ারী (বৃহস্পতিবার)
দক্ষিণ শুলকবহর মহল্লা কমিঠির নেতৃবৃন্দ,সমাজ সমিতির নেতৃবৃন্দসহ এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে পাইপলাইন বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়,এবার কাজ শেষ হওয়ার পর তিনি প্রতিবাদ শুরু করেন আসে থানা থেকে ফোন কিন্তু মহল্লার দায়িত্বশীল ব্যক্তিগণ যুগযুগ ধরে চলাচলের রাস্তার উপর নাগরিক সুবিধার উপাদান সরবরাহে বাধাদানকে অমানবিক ও গর্হিত কাজ বলে জানান।
দক্ষিণ শুলকবহর মহল্লা কমিঠির সভাপতি মোঃ মনজুর আলম জানান,উক্ত মহিলা বাধা দিয়ে ১০ টি পরিবারকে নাগরিক সুবিধা হতে বঞ্চিত করে রেখেছে তাই আমরা মহল্লাবাসীকে নিয়ে এসেছি অন্যায়ভাবে কেউ যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে।
মহল্লা কমিঠির সিনিয়র সহ-সভাপতি আকতার হোসেন লেদু জানান,উক্ত মহিলার স্বামী যাদের থেকে জায়গা নিয়ে ঘর করেছেন তাদের পরিবারকে জিম্মি করে রেখেছে অন্যায়ভাবে কিছু হলেই ৯৯৯ এ মিথ্যা অভিযোগে কল করে প্রশাসনকেও ধোকা দিচ্ছে।আমরা জানি তাদের ঘর নির্মাণ হয়েছে ক্রয়কৃত সম্পূর্ণ জায়গার উপর।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কার্যকরী সদস্য সালামত উল্লাহ সোহেলসহ অনেকেই ,পরে উক্ত মহিলার নানাবিধ হয়রানির প্রতিবাদে এলাকাবাসীরা গণসাক্ষর দেন।
এবিষয়ে জানতে পাচঁলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে কল করলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
অভিযুক্ত মহিলা কথা বলতে অপারগতা জানান।
এমতাবস্থায় দক্ষিণ শুলকবহর মহল্লার শহর মুল্লুকের ওয়ারিশগণ উক্ত মহিলার নানাবিধ ষড়যন্ত্র হতে রক্ষা পেতে গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।