আজ বৃহস্পতিবার ২ মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১
উদ্যেক্তা

সন্দ্বীপে আজওয়া খেজুরের চারা উৎপাদনে স্বপ্ন দেখছেন সেলিম হচ্ছে কালীগঞ্জে

ইলিয়াছ সুমন, সন্দ্বীপ : | প্রকাশের সময় : শনিবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৪ ০৫:৫৪:০০ অপরাহ্ন | কৃষি ও প্রকৃতি

একটি সময় ছিল যখন সন্দ্বীপ জুড়ে ছিল খেজুর গাছ। গত ১০ বছর যাবৎ প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে এ  গাছ। ফলে একইসাথে হারিয়ে যাচ্ছে ‘গাছি’ নামের শিল্পীরা।এখন আর চোখে পড়েনা গ্রামবাংলার সেই দৃশ্য, তেমনি দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে খেজুরের রসও। অথচ খেজুর গাছ হারিয়ে গেলে এক সময় হারিয়ে যাবে খেজুর রসের ঐতিহ্য। 

গৌরব আর ঐতিহ্যের প্রতীক মধুময় খেজুর গাছ এখন আর দেখা যাচ্ছে না বললেই চলে। দেখা মেলে না শীতের মৌসুম শুরু হতেই খেজুরের রস আহরণে গ্রামে গ্রামে খেজুর গাছ কাটার প্রস্তুতি নেয়া গাছিদের তোড়জোড়। সে ঐতিহ্যকে ফেরাতে  তেমনি এ  সময়ে সন্দ্বীপের মগধরা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে দেখা মিলল আজওয়া খেজুর সৌদি আরবের সবচেয়ে বিখ্যাত আজওয়া খেজুরের চারা উৎপাদন করছেন মোঃ সেলিম (৬৫) । তিনি জানা এ খেজুর বগুড়াতে দেখে এসেছি  এক যুবক চারা উৎপাদনে সফল হয়েছেন।

 

গত এক বছর চেষ্টার পর  খেজুরের চারা তৈরি করে বাগান করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সেলিম  । হাদিসে আজওয়া খেজুরের কথা জেনে নিজ উদ্যোগেই তিনি চারা উৎপাদনে উৎসাহিত হন। 

 

 ২০১৯  সালের দিকে কুয়েতে  বসবাসরত এক আত্মীয়ের মাধ্যমে ৫০টি বীজ সংগ্রহ করেন সেলিম ।

 

প্রথম পর্যায়ে সেই বীজ থেকে ১০০টি চারা উৎপাদিত হলেও সর্বশেষ টিকে যায় ৫০ টি । এরপর ২০২১ সালের প্রথম দিকে সৌদি আরব থেকে বেশকিছু আজওয়া খেজুরের বীজ সংগ্রহ করেন। সেখান থেকে তিনি ১০০টির মতো চারা উৎপাদন করেন।

 

সব মিলিয়ে তিনি প্রায় বর্তমানে  ৭০০টি চারা উৎপাদন করেন। উপজেলার মগধরা ৩ নং ওয়ার্ডের ৪০ শতক জমিতে  ‘ একটি বাগান তৈরির কাজ শুরু করেছেন তিনি। নিজে বাগান তৈরির পর চারা উৎপাদন করে কৃষক পর্যায়ে তা ছড়িয়ে দেবেন। একটি গাছ থেকে তিন থেকে সাড়ে তিন বছরে ফল পাওয়া সম্ভব। চারা উৎপাদন করতে লাগে বালি, মাটি আর জৈবসার।

 

মোঃ সেলিম জানান , প্রথমে বীজগুলো টিস্যুর মধ্যে রেখে তারপর মাটিতে অত্যন্ত যত্নে রেখে বড় করেছেন। বর্তমানে চারাগুলোর বয়স ৩ মাস। আগের উৎপাদিত প্রায় ৫০টি চারা তিনি রোপণ করেছেন। বাকি ১০০টি চারা দিয়ে তিনি আজওয়া খেজুরের বাগান করবেন। তিনি আর ও বলেন আমি ছোট্ট একটি বেসরকারি চাকুরী করতাম যা দিয়ে সংসার চলতো না, অবসর বয়সে আমি ড্রাগন বাগানের পাশাপাশি খেজুর চারা ও পেপে বীজ উৎপাদন করি। 

 

সন্দ্বীপ  উপজেলা কৃষি অফিসার মারুফ হোসেন  বলেন  , দেশের বিভিন্ন স্থানে সৌদি আরবের খেজুর চাষ হচ্ছে। অনেক স্থানে কৃষকরা ফলও পেয়েছেন। সন্দ্বীপে বিভিন্ন  কৃষক  খেজুরের চারা উৎপাদন করেছে তাকে সাধুবাদ জানাই। কৃষি অফিস থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।