আজ শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

লক্ষ্মীছড়িতে লিন প্রকল্পের উদ্যোগে শিখন সফর ও বনভোজন

মোবারক হোসেন, খাগড়াছড়ি: | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ১১ জানুয়ারী ২০২২ ০৪:৩২:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় লিন প্রকল্পের আওতায় বহুখাতভিত্তিক পুষ্টি কার্যক্রম পরিচালনার অংশ হিসেবে শিখন সফর ও বার্ষিক বনভোজনের আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার আয়োজিত এসব কার্যক্রমে অংশ নেন লক্ষ্মীছড়ি ইউএনও পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভাপতি মো: ইয়াছিন, কমিটির উপদেষ্টা উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল চৌধুরী। এছাড়াও লক্ষ্মীছড়ি থানার অফিসার্স ইনচার্জ হুমায়ুন কবীর, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাজু চাকমা দিপান্তর, সমুনা চাকমা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন ভূইয়া, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা আব্দুর রাশেদ, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সারওয়ার ইউসুফ জামাল, উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুভাশীষ বড়ুয়াসহ ইউপি চেয়ারম্যান প্রবিল চাকমা, ত্রিলন চাকমা এবং সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

 

লিন প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়ক প্রজ্ঞাশুভ চাকমা বলেন, লিন প্রকল্পের অন্যতম প্রধান কাজ হলো উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির কাজ জোরদারকরণ ও সহযোগিতার মাধ্যমে মা ও শিশুর পুষ্টি উন্নয়নে ভূমিকা রাখা। উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইয়াছিন, উপদেষ্টা হলেন উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল চৌধুরী। এই কমিটি উপজেলায় পুষ্টি কার্যক্রম তদারকি করে। এই কার্যক্রমসমূহ জোরদারকরার জন্য লিন প্রকল্প সোমবার ক্রস লার্নিং বা শিখন সফরের আয়োজন করে। এর মাধ্যমে আমরা মানিকছড়ির গাড়িটানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করি। সেখানকার স্টুডেন্ট বিগ্রেড ও স্কুল এসএমসি কমিটির সাথে পুষ্টি বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতা শুনি এবং আমাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করি। সর্বশেষ সেখানকার ইউএনও মহোদয়ের সাথে সাক্ষাৎ করে নিজেদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করি। এই শিখন সফরে কমিটির অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন সরকারি অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ আমাদের সফরসঙ্গী ছিলেন।

 

মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সারওয়ার ইউসুফ জামাল জানান, সকালে স্কুলে বই বিতরণ কার্যক্রম শেষে আমরা অফিসাররা প্রায় সকলেই লিন প্রকল্পের কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছি। উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা আব্দুর রাশেদ বলেন, অফিসিয়াল কার্যক্রম যথারীতি চলেছে। বেশ কয়েজন ঋণ গ্রহিতা কিস্তির টাকা জমা দিয়েছে। এর মধ্যে চেঙ্গীমুখ পাড়ার মিথুন চাকমা ১৭হাজার ৬০০টাকা এবং একই গ্রামের রুপায়ন চাকমা ২হাজার ২০০টাকা জমা দিয়েছেন অফিসে এসে। অফিস তো বন্ধই ছিল না-এমনকি কোনো ব্যক্তি সেবা নিতে এসে ফেরৎ গেছে তা সত্য নয় বলে তিনি বলেন। উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয়ের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা অসিম চাকমা বলেন, আমি সার্বক্ষনিক অফিসে ছিলাম। কোনো সেবা প্রার্থী কৃষক অফিসে এসে পরামর্শ না পেয়ে ফেরত গেছে এমন কোনো কিছুই হয় নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের অফিস সহায়ক উষাময় ত্রিপুরা জানান, আমি পুরোদিন অফিসেই ছিলাম। তবে দুপুরে ভাত খেতে গিয়েছি।

 

লক্ষ্মীছড়ি থানার অফিসার্স ইনচার্জ হুমায়ুন কবীর বলেন, লিন প্রকল্পের কার্যক্রমে অংশ নিতে গিয়ে লক্ষ্মীছড়ি থানার এরিয়ার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্বাভাবিক ছিল। এই দিন কোনো মামলা রেকর্ড নেই এমনকি কেউ মামলা দিতে এসে ফেরত গেছে এমন ঘটনাও ঘটেনি।

উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল চৌধুরী বলেন, লিন প্রকল্পের উদ্যোগে আমরা জনপ্রতিনিধিরাসহ সরকারী কর্মকর্তারা এ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছি। সরকারী কাজের বেঘাত ঘটেছে এমনটা সত্য নয়।

লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভাপতি মো: ইয়াছিন বলেন, এই কর্মসূচি ছিল পূর্বনির্ধারিত। লিন প্রকল্পের কার্যক্রমটাও সরকারি, এটি বাস্তবায়নের জন্য কিছু সময়ের জন্য জনপ্রতিনিধি ও অফিসারগণ অংশ নিয়েছি। অফিসিয়াল কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। তিনি বলেন, একটি মহল তাদের দীর্ঘদিনের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে না পেরে আমাকে হেয় করার জন্য উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে মিথ্যা সংবাদ করছে। আমি উক্ত মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।