মাঘের শেষ ভাগে এসে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হচ্ছে দেশব্যাপী। তবে বৃষ্টিপাত কেটে গেলে নেমে যাবে থার্মোমিটারের পারদ। এমনকি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে দেশের ওপর দিয়ে।
আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়া কবির জানিয়েছেন, ইতো মধ্যে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রোদের দেখা মিলছে। সূর্য কিরণের উজ্জ্বলতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমবে তাপমাত্রাও। রোববার থেকে রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পাবে।
এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে।
এই অবস্থায় রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকাঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
আগামী দু'দিন রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমবে। ফলে বাড়বে শীতের অনুভূতি। দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহ।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানিয়েছেন, রোববার থেকেই দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাবে শৈত্য প্রবাহ। আর বৃষ্টিপাতের যে প্রবণতা রয়েছে, তা বিকেলের মধ্যেই কেটে যেতে পারে।
চলতি বছর মাঘ মাসে বৃষ্টিপাত কিছুটা বেশি হচ্ছে। ফেব্রুয়ারিতে রয়েছে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের আভাসও। একদিনের হিসেবে শনিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়ছে খুলনায়, ৬৯ মিলিমিটার। আর ঢাকায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ মিলিমিটার।
আরেকটি শৈত্য প্রবাহ এলে সেটি হবে মৌসুমের পঞ্চম এবং চলতি বছরের চতুর্থ শৈত্য প্রবাহ। এবারে শীতে সবচেয়ে কম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩১ জানুয়ারি তেঁতুলিয়ায়, ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।