কক্সবাজারের পেকুয়ার উজানটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আসন্ন সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী এম জিয়াবুল হক জিকুকে একটি চক্র ষড়যন্ত্র করে আইনশৃংখলা বাহিনীর একটি টিমকে এনে চকরিয়ার বিএমচর ইউনিয়নের একটিক্কাখালী এলাকার বাড়ি থেকে ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। জিয়াবুলকে রাজনীতি থেকে সরাতে এই ষড়যন্ত্র বলে দাবী করেছেন তার স্ত্রী উম্মে সালমা হাবিবা।
শুক্রবার (১৩ মে) বিকাল সাড়ে ৫টায় স্থানীয় একটি হোটেলের হল রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ছেলে-মেয়েদের সাথে নিয়ে
এ অভিযোগ তুলেন উম্মে সালমা হাবিবা। তিনি লিখিত বক্তব্যে আরো দাবী করে বলেন, আমার স্বামী একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। তিনি কলেজ থেকে শুরু করে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন। ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। পরে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য হন। ব্যবসার পাশাপাশি আসন্ন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলনে নিজেকে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। এর পর থেকে একটি চক্র আমার স্বামীর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করতে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেন। এরই অংশ হিসেবে র্যাবের একটি টিমকে ভুল তথ্য দিয়ে চকরিয়াস্থ বিএমচর ইউনিয়নের বাসায় এনে তাদের সাথে থাকা এক লোক রুমে ঢুকে ওয়ারড্রয়ারের নিচে কি একটা ঢুকিয়ে দিয়ে সাথে সাথে চিৎকার দিয়ে বলেন, পাওয়া গেছে, পাওয়া গেছে এধরণের আওয়াজ করেন। পরে একটি ছোট বন্দুক পাওয়া গেছে বলে প্রদর্শন করে ছবি উঠায়। এরপর আমার স্বামীকে নিয়ে যায়। আমি নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক আমার স্বামীর মুক্তি চাই।
মায়ের লিখিত বক্তব্যের পর তিন মেয়ের মধ্যে দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া বড় মেয়ে ফারহানা হক চামেলী কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার বাবা নিরাপরাধ। রাজনীতির কারণে বাবাকে ফাঁসানো হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন করছি, আমার বাবাকে মুক্তি দেয়া হউক।
এদিকে র্যাবের পক্ষ থেকে চকরিয়া থানায় শুক্রবার দায়ের করা মামলায় দাবী করা হয়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। জিয়াবুল হক জিকুকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে দেয়া স্বীকারোক্তি মতে একটি ওয়ান শ্যুটার গান ও দুই রাউন্ড কার্তুজ পাওয়া গেছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।