আজ শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১

মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি নিয়ে চিরবিদায় নিতে চান- মুক্তিযোদ্ধা থোয়াইসা হ্লা চাক''''

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বুধবার ৭ ডিসেম্বর ২০২২ ০৫:৩২:০০ অপরাহ্ন | রাজনীতি

স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও মুক্তি যোদ্ধার স্বীকৃতি না পাওয়াতেই হতাশ মুক্তিযোদ্ধা। তিনি চান শেষ বয়েসে হলেও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি নিয়ে এই পৃথিবী থেকে চির বিদায় নিতে। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড মধ্যম চাক পাড়া বসবাসকারী মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার থোয়াইসা হ্লা চাক (৭২)। খোজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে ছাত্র জীবনে নিজের জীবন বাজি রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। স্বাধীনতা যুদ্বের ১নং সেক্টরের অধীনে ক্যাপ্টেন মোঃ আবদুস সোবহানের নেতৃত্বে সম্মুখ যুদ্ধ চলাকালীন যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের নোয়া মুরুং পাড়ায় তাদের সহযোদ্ধা লাব্রে মুরুং শত্রুদের হাতে তখন প্রান হারায়। ওই সময় তারা পিছু হয়নি বরংচ তাদের আক্রমণে রাজাকার বাহিনী পিছু হতে বাধ্য হয়। সেদিনে পর থেকে ১৯৭১সালে যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তার সাথে যারা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন তারা সবাই মুক্তিযুদ্ধের যোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। কিন্তু তিনি না পাওয়াতেই হতাশায় ভোগ করছেন। স্বীকৃতিতো দুরের কথা আজ কেউ খোজ খবর ও নিচ্ছেনা বলে অভিযোগও উঠেছে । স্থানীয়রা জানান, ইন্ডিয়ান ফোর্স থেকে ২১ দিনের অস্ত্র প্রশিক্ষন সহ রণ কৌশলগত প্রশিক্ষণ ও নিয়েছেন। ২০০২ সালে উপজেলায় মুক্তি যোদ্ধা বাছাই এ ও তার নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে জেলা প্রশাসক বান্দরবান থেকে প্রশংসা পত্র পেয়েছিলেন। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার কাগজ পত্র সব কিছু ১৯৭৪ সালে বসতবাড়ি দিনে দুপুরে ডাকাতি সময় ডাকাত দলের সদস্যরা নিয়ে যায়। তারপর থেকে তিনি হতাশায় ভূগছে বলে জানান এলাকাবাসীরা। কক্সবাজার ঈদগড়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম জানান, মুক্তিযোদ্ধা থোয়াই সা হ্লা চাক তাদের সাথে সরাসরি যুূদ্বে অংশ গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৭১ সালের যুদ্ধে লামা, ফাঁসিয়া খালী, কক্সবাজারের ঈদগাও এলাকায় দায়িত্ব পালন করেন। যোগাযোগ করা হয় মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার থোয়াই সাহ্লা চাক সাথে। তিনি জানান, যদি সঠিক তদন্ত করা হয় মুক্তি যোদ্ধার স্বীকৃতি তিনি অবশ্যই পাবেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট আকুল আবেদন জানিয়ে বলেন, তিনি কিছুই চাননা। শেষ বয়েসে হলেও মুক্তি যোদ্ধার স্বীকৃতি নিয়ে এই পৃথিবী থেকে চির বিদায় নিতে।