মিয়ানমারে কারাভোগ শেষে চার বাংলাদেশীকে ফেরত দিয়েছে। তারা হচ্ছে- টেকনাফের সাবরাং শাহপরীরদ্বীপ জালিয়াপাড়ার রমজান আলী, রেজাউল করিম, আবদুর রহমান ও আরফাত। পেশায় তারা জেলে।
গত রবিবার (১ জুন) বিজিবি-বিজিপি রিজিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে মিয়ানমারের মংডুতে সীমান্ত সম্মেলন শেষে তাদের ফেরত দেয়া হয়।
ফেরত আসা বাংলাদেশীরা জানান, নাফ নদের মোহনায় জাল পেতে মাছ শিকার করছিল। এসময় হঠাৎ করে অবৈধভাবে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) এপার থেকে তাদের ধরে নিয়ে যায়। দীর্ঘ তিন মাস ৯ দিন কারাভোগের পর ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছে।
টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে সন্ধ্যা সাতটায় সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজার রিজিয়ন সদর দপ্তরের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজম - উস - সাকিব , এএফডব্লিউসি , পিএসসি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে রবিবার সকালে কক্সবাজার রিজিয়ন সদর দপ্তরের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজম - উস - সাকিব , এএফডব্লিউসি , পিএসসি এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের পক্ষে স্বরাষ্ট্র এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ মোট ১৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল টেকনাফ জেটিঘাট হতে নাফ নদ হয়ে জলযানযোগে মিয়ানমারের মংন্ডুর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন । অপরদিকে মিয়ানমারের পক্ষে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন
মংডুর বর্ডার গার্ড পুলিশ কমান্ডিং অফিসের কামান্ডার Police Brigadier General Htet Lwin।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল মণ্ডুতে পৌঁছালে মিয়ানমার প্রতিনিধি দল উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান এবং বিজিবি প্রতিনিধি দলের প্রধানকে বিজিপি কর্তৃক “ গার্ড অব অনার ” প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ সীমান্ত সম্মেলন ২০১৯ সালের ১৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কোভিড -১৯ মহামারী জনিত স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে বিগত ২ বৎসর ৬ মাস পর পুনরায় এই সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ।