মিরসরাইয়ে ১নং করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে ৩ জন প্রার্থীর বৈধ ও ১ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ১২নং খৈয়াছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে সদস্য পদে ৫ প্রার্থী মনোনায়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার (৫ জুন) বিকালে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং কর্মকর্তা জাকির হোসেনের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয়।
মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে ১নং করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. জামাল উদ্দিনের মনোনয়নপত্রে যথাযথভাবে হলফনামা দাখিল না করা, দাখিলকৃত তথ্যে মামলার তথ্য গোপন করা, পেশা সংক্রান্ত তথ্য না দেয়া এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার সমর্থনে প্রমানপত্র দাখিলে ব্যর্থ হওয়ায় বাতিল করা হয়েছে। এসময় মো. সুলতান গিয়াস উদ্দিন জসিম, মোহাম্মদ শোয়াইব ও মো. সাইফুদ্দিন চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। ১২নং খৈয়াছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে মো. দেলোয়ার হোসেন, ফরহাদ হোসেন, মো. রিয়াজুল হক, মো. শাখাওয়াত হোসাইন ও মো. হাছানের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, ১নং করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও খৈয়াছড়া ইউনিয়নের ৫ নং সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে ৫ জন মনোনায়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. জামাল উদ্দিনের মনোনয়নপত্রে যথাযথভাবে হলফনামা দাখিল না করা ও তথ্য অসম্পূর্ণ থাকায় মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তিনি চট্টগ্রাম সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর আপীল করতে পারবেন।
করেরহাট ইউনিয়নে মোট ভোটার ৩০ হাজার ৬৪ জন। পুরুষ ভোটার ১৬ হাজার ৭২ জন, মহিলা ভোটার ১৩ হাজার ৯৯১ জন, হিজড়া ভোটার ১ জন। খৈয়াছড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৫৫১ জন। পুরুষ ভোটার ১ হাজার ৮৪০ জন, মহিলা ভোটার ১ হাজার ৭১১ জন। মঙ্গলবার ৫ জুলাই আপিল নিষ্পত্তি করা হবে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের তারিখ ১০ জুলাই বুধবার। প্রতিক বরাদ্দ ১১ জুলাই বৃহস্পতিবার। আগামী ২৭ জুলাই শনিবার ইভিএম এর মাধ্যমে ইউনিয়ন দু’টিতে উপ-নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত : উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন গত ৮ মে অনুষ্ঠিত হওয়া উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পদত্যাগ করায় পদ শুন্য ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া খৈয়াছড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য গোপাল চন্দ্র চৌধুরী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ায় ৫নং সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদ শুন্য হয়।