আজ শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মিরসরাইয়ে সন্ত্রাসী হামলায় আহত ইউপি সদস্যের মৃত্যু মামলা দায়ের, আটক ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, মিরসরাই: | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ১ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ১২:২৪:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়ে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ইউপি সদস্য আবুল কাশেমের (৬৫)। তিনি মিরসরাই উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক ৬ বারের নির্বাচিত ইউপি সদস্য ছিলেন। মঙ্গলবার (০১ ফেব্রæয়ারি) দিবাগত রাত ৩টায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) ৬ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তার মৃত্যু হয়। 

হামলার ঘটনায় ১৬নং সাহেরখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য বেলাল হোসেনকে ১ নং আসামী করে ৬ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো ৫-৬ জনের নামে মিরসরাই থানায় সোমবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেছেন আবুল কাশেমের স্ত্রী বিবি ফাতেমা। মামলায় অভিযুক্ত বেলাল হোসেনের ছেলে ফাহাদ, নজরুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম নামে তিনজনকে আটক করেছে মিরসরাই থানা পুলিশ।

গত ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নিখোঁজ হওয়ার পর রাত ১০টায় ছুরিকাহত অবস্থায় উপজেলার দক্ষিণ মঘাদিয়া ঘোনা এলাকার খালের কাদা মাটি থেকে আবুল কাশেমকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) ভর্তি করানো হয়েছিলো। চমেকে ৩ বার অপারেশনের করেও তার শারীরিক কোন উন্নতি হয়নি। রবিবার থেকে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। 

আবুল কাশেমের ছেলে বদরুদৌজা তারেক জানান, হাসপাতালে দীর্ঘদিন আমার বাবাকে নিয়ে রীতিমত যুদ্ধ করেছি। ৩ বার অপারেশন করার পরও বাবাকে বাঁচাতে পারিনি। আমার বাবা সারা জীবন মানুষের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। শেষ বয়সে সন্ত্রাসীরা আমার বাবাকে চিরতরে শেষ করে দিয়েছে। আমি খুনী বেলাল সহ জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্ত শাস্তি দাবী করছি। 

আবুল কাশেমের স্ত্রী বিবি ফাতেমা বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমার স্বামীর সাথে ইউপি সদস্য বেলাল হোসেনের সাথে বিরোধ চলে আসছিলো। এর আগেও কয়েকবার হত্যার হুমকি দিয়েছে। এই বিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা রয়েছে। বেলালের নির্দেশে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে।’

মিরসরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. অলি উল্ল্যাহ বলেন, হামলার ঘটনায় সোমবার মিরসরাই থানায় একটি মামলা হয়েছে। আবুল কাশেম মারা যাওয়ায় তা এখন হত্যা মামলা হবে। ইতমধ্যে মামলায় অভিযুক্ত ৩জনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।