মিরসরাইয়ে নিখোঁজের সাতদিন পর ছায়েদ আলম (৩৫) নামের এক যুবদল কর্মীর খÐিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার ৩নং জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের সোনাপাহাড় এলাকার দুর্গাঘোনা এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। ছায়েদ আলম জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ সোনাপাহাড় গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেন কেরানির ছেলে। বুধবার (১৪ আগষ্ট) বিকাল ৫টা পর্যন্ত হত্যাকান্ডে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
নিহতের ভাতিজা নাজমুল হোসেন জানান, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নেতাকর্মীদের সঙ্গে রাত ১০টা পর্যন্ত বিজয় মিছিল করেন ছায়েদ। রাতে মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার সময় নিখোঁজ হন তিনি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রেললাইনের পাশের একটি খামারে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা খবর দিলে আমরা শনাক্ত করেছি।
মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ছায়েদ আমাদের দলের লোক। তিনি যুবদলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন জানান, সেনাবাহিনীর সহায়তায় পুলিশ সদস্যরা ছায়েদ আলমের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। বুধবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনায় পরিবারের পক্ষে থেকে বুধবার বিকেল পর্যন্ত কোন অভিযোগ দেওয়া হয়নি। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।