আত্মগোপনে থেকে কাতার পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মো. জাহেদ হাসান ফিরোজ প্রকাশ মো. ফিরোজকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭। ফিরোজ উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি কবির আহম্মদ সওদাগর হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ৭নং আসামী। বুধবার (৩০ অক্টোবর) র্যাব-৭ এর দুইটি আভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত মো. জাহেদ হাসান ফিরোজ উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের পূর্ব হিঙ্গুলী এলাকার মো. নুরুল ইসলামের ছেলে।
র্যাব-৭ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এ. আর. এম. মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, গত ১০ অক্টোবর সন্ধ্যায় বারইয়ারহাট পৌরসভার কাঠ মার্কেট নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বকেয়া টাকা চাওয়ায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে কামাল উদ্দিন এবং তার সহযোগীরা হিঙ্গুলী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও বর্তমানে ইউনিয়ন কমিটির সদস্য কবির আহম্মদ সওদাগরকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র চাকু, কিরিচ, রামদা দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় বাবাকে বাচাঁতে এগিয়ে আসলে কবির আহম্মদের ছেলের উপরও হামলা করে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় নিহতের ছেলে মো. দিদারুল আলম বাদী হয়ে জোরারগঞ্জ থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা (নং-০৭) দায়ের করেন। মামলার এজাহারনামীয় ৭নং পলাতক আসামী মো. জাহেদ হাসান ফিরোজ কাতার পালিয়ে যাওয়ার সময় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে বুধবার রাতে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত ২২ অক্টোবর রাতে র্যাব-৭ ও ১ এর যৌথ অভিযানে ঢাকা থেকে একই মামলার এজাহারনামীয় ২ নং আসামী কামাল উদ্দিন (৩২) ও ৩নং আসামী মো. সাঈদকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়।
জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এটিএম সিফাতুল মাজদার বলেন, কবির আহম্মদ সওদাগর হত্যা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামী মো. জাহেদ হাসান ফিরোজ প্রকাশ মো. ফিরোজকে র্যাব-৭ গ্রেফতার করে বুধবার রাতে থানায় হস্তান্তর করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে চট্টগ্রাম আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ৫দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কবির আহম্মদ সওদাগর হত্যা মামলায় এই পর্যন্ত ৫জন এজাহারনামীয় আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরর গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।