মিরসরাইয়ে জাল বন্দোবস্ত মামলা ও বন্দোবস্ত দলিল সৃজন করে সরকারি খাস জমি নামজারি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন মো: খায়েজ আহাম্মদ নামে এক প্রতারক। তিনি উপজেলার ৩নং জোরারগঞ্জ ইউনিয়েনের মধ্যম সোনাপাহাড় গ্রামের মৃত এয়াকুব আলীর ছেলে।
জানা গেছে, উপজেলার সোনাপাহাড় মৌজার ১নং খতিয়ানভুক্ত ৬.৭৮ একর জমির বন্দোবস্তমূলে (ভূয়া) নামজারির জন্য উপজেলা ভূমি অফিসে আবেদন করেছিলেন খায়েজ আহাম্মদ। পরবর্তীতে সরকারি সম্পত্তির নামজারি ও জমাভাগ স্থগিত রাখার জন্য জনৈক অলি আহাম্মদ গং আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩ জুলাই মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজা জেরিন তার কার্যালয়ে উক্ত আবেদনের শুনানি করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিবাদী খায়েজ আহাম্মদ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়েজ আহাম্মদের বন্দোবস্ত দলিল পর্যালোচনা করে দেখেন, দলিলটি ১৯৮১ সালের ১২৪২ নং দলিল হিসেবে সম্পাদিত। কিন্তু সদর রেকর্ড রুমের সরবরাহকৃত সূচিপত্র এর কপিতে দেখা যায় ১৯৮১ সালের ১২৪২ নং দলিল টি ভিন্ন মৌজার ভিন্ন ব্যক্তির নামে সম্পাদিত। পরবর্তীতে মিরসরাই উপজেলা ভূমি অফিস এর বন্দোবস্ত রেজিস্ট্রার পর্যালোচনায় দেখা যায়, ১৯৮০-৮১ সালের সর্বশেষ বন্দোবস্ত নম্বর ৫৮/৮০-৮১। যেহেতু সদর রেকর্ড রুম থেকে সরবরাহকৃত নকল ও বন্দোবস্ত রেজিস্ট্রার (রেজিস্ট্রার -১২) পর্যালোচনায় বন্দোবস্ত মামলা ২২৯/(এম)৮০-৮১ এবং ১৯৮১ সালের বন্দোবস্ত দলিল নং ১২৪২ তঞ্চকীয়ভাবে সৃজন করা হয়েছে। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজা জেরিন অভিযুক্ত খায়েজ আহাম্মদ এর বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎকরণের জন্য জাল বন্দোবস্ত মামলা ও বন্দোবস্ত দলিল সৃজন এর অপরাধে নিয়মিত মামলা করার জন্য জোরারগঞ্জ থানাকে নির্দেশ দেন।
উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ জহির উদ্দিন বাদী হয়ে মিথ্যা ও জাল দলিল সৃজন করে জাল এবং মিথ্যা দলিল খাঁটি হিসেবে ব্যবহার করিয়া প্রতারণা পূর্বক সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ করার অপরাধে খায়েজ আহাম্মদে বিরুদ্ধে জোরারগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ের শুনানীতে সৃজিত জাল ও মিথ্যা দলিল খাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে এবং সরকারী খাস জমি প্রতারণা পূর্বক দখল করার অভিযোগে এজাহার দেওয়ায় খায়েজ আহাম্মদের বিরুদ্ধে ৪ জুলাই নিয়মিত মামলা রুজু করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।