‘বড় ধরনের’ কোনো সহিংসতার ঘটনা ছাড়াই শেষ হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ‘শান্তিপূর্ণ’ ভোটগ্রহণ। রোববার সকাল ৮টা থেকে একযোগে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল চারটা পর্যন্ত। কেন্দ্রে কেন্দ্রে চলছে ভোট গণনা।
সকালের দিকে ভোটারের উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বাড়তে থাকে। তবে তাও আশানুরুপ নয় বলে জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। এদিকে, এবারের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয় কাগজের ব্যালটে। নগরের ৪, ৫, ৮, ৯, ১০ ও ১১ আসনের বেশিরভাগ কেন্দ্রে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
তবে ভোটগ্রহণ শুরুর এক ঘণ্টা পর সকালে চান্দগাঁও মৌলভী পুকুরপাড় এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিএনপি নেতাকর্মীরা ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়ায় সময় পুলিশ ধাওয়া দিলে নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এর পরের ঘটনা ঘটে নগরের খুলশী থানার পাহাড়তলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ কেন্দ্রের বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মনজুর আলম ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চুর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের। এ ঘটনায় দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
অন্যদিকে, সকাল ১১টার দিকে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের একটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলাকালে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুল গফুরকে আটকের ঘটনায় দল-বল নিয়ে থানায় ছুটে গিয়ে ওসিকে ধমক দেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী।
এ ছাড়া দুপুরের দিকে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনের নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের ভাড়া করা একটি গাড়ি ভাঙচুর ও চালককে পিটিয়ে আহত করা হয়। চট্টগ্রাম ৮ আসনের বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নের একটি ভোটকেন্দ্রে ইউপি সদস্য সুরেশ চৌধুরীর ওপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে তার মাথা ফেটে যায়।
আমুচিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবু কাজল দে'র সাথে ফুল কপির সমর্থকের সাথে মারামারি ঘটনা ঘটে