আজ বৃহস্পতিবার ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ই পৌষ ১৪৩১

ভারতকে হারিয়ে ফের চ্যাম্পিয়নের মুকুট বাংলাদেশের

খেলাধুলা ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : রবিবার ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৬:৪৯:০০ অপরাহ্ন | খেলাধুলা

আজিজুল হাকিমের বলে ক্যাচ তুলে দিলেন চেতন শর্মা। কালাম সিদ্দিকী ক্যাচটা ধরতেই উল্লাসে ভাসলো পুরো দল।

 

ডাগ আউট থেকে দৌড়ে এলেন বাকিরা, কারো হাতে পতাকা; কেউ আবার আনন্দে দিশেহারা। এই উচ্ছ্বাস তাদের প্রাপ্যই। জয়ের আনন্দ আরও একবার সঙ্গী হয়েছে তাদের, চ্যাম্পিয়ন হওয়ারও।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে ৫৯ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১৯৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। পরে রান তাড়ায় নেমে ১৩৯ রানের বেশি করতে পারেনি ভারত। আর তাতে টানা দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপের শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। অন্যদিকে এই প্রথম টুর্নামেন্টটির ফাইনালে হেরেছে ভারত।

 

শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৬৬ রানে প্রথম তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১৬ বলে ১ রান করে প্রথম ব্যাটার হিসেবে আউট হন কালাম সিদ্দিকী। আরেক ওপেনার জাওয়াদ আবরার ৩৫ বল খেলে ২০ রান করে চেতন শর্মার বলে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। এর বাইরে ২৮ বলে ১৬ রান করে আউট হন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম।  

 

তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ার পর বাংলাদেশের হাল ধরেন শিহাব জেমস ও রিজান হোসেন। দুজনের ৬২ রানের জুটি ভাঙে শিহাব জেমস আয়ুশ মোহাত্রের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে। হাফ সেঞ্চুরির আগে আউট হন রিজান হোসেনও। ৬৫ বলে ৪৭ রান করে হার্দিক রাজের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি।  

 

পরের ব্যাটারদের মধ্যে কেবল ফরিদ হোসেন রান করেন। ৪৯ বলে ৩৯ রান করে চেতন শর্মার বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। ভারতের হয়ে দুই উইকেট করে নেন যুধাজিৎ গুহ, চেতন শর্মা ও হার্দিক রাজ।  

 

রান তাড়ায় নেমে শুরুতে ধাক্কা খায় ভারতও। ৪৪ রানে তিন উইকেট হারায় তারা। ৮ বলে ১ রান করা ওপেনার আয়ুশ মহাত্রেকে আউট করে আল ফাহাদ বাংলাদেশকে প্রথম উইকেট এনে দেন। আরেক ওপেনার বৈভব সূর্যবংশী শিকার হন মারুফ মৃধার, ৭ বলে ৯ রান করেন তিনি।  

 

তিনে নামা আন্দ্রে সিদ্ধার্থ ৩৫ বলে ২০ রান করে বোল্ড হন রিজান হোসেনের ওভারে। এরপর ছোট একটা জুটি গড়ে তোলেন কেপি কার্তিকেয়া ও মোহাম্মদ আমান। তাদের ২৯ রানের জুটি ভাঙেন ইকবাল হোসেন ইমন। দুই ওভারে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন তিনি।  

 

প্রথমে কেপি কার্তিকেয়া তার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ৪৩ বলে ২১ রান করে। দুই বল পর নিখিল কুমারও আউট হন একইভাবে। পরের ওভারে এসে ৬ বলে ৬ রান করা হারভানাস সিংকে আউট করেন ইমন।  

 

ফের দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া দলের জন্য সহায় ছিলেন অধিনায়ক আমান। তবে ৬৫ বলে ২৬ রান করে আজিজুল হাকিমের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। এরপর ভারতের হার ছিল স্রেফ সময়ের ব্যাপার মাত্র। বাংলাদেশের হয়ে ৭ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন ইমন।