সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে হেলিকপ্টার নিয়ে এসে বিয়ে করেছেন জাকির হোসেন নামে কুমিল্লার এক যুবক। এ ঘটনা দেখতে জমা হয়েছে এলাকার শত শত মানুষ। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার জোড্ডা ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার ২৪ ঘণ্টায় এই উপজেলায় ১২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কুমিল্লা জেলায় শনাক্তের হার ৪৩ শতাংশ।
এই পরিস্থিতিতে এতো মানুষের সমাগমে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দেবদাস দেব। তিনি বলেন, নাঙ্গলকোট এমনিতেই করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। তার মধ্যে এমন ঘটনা আসলেই বিস্ময়কর। এই বিষয়ে আমাকে কেউ জানায়নি। আমি শুনিওনি। যদি জানতাম অবশ্যই আমি উপজেলা প্রশাসনকে জানাতাম।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বরের বাড়ি নাঙ্গলকোট উপজেলার জোড্ডা ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের জালাল হোসেনের ছেলে। কনের বাড়ি একই ইউনিয়নের ধামুরপাড়া গ্রামে। স্থানীয় ভোগই বাজারে বর জাকিরের হার্ডওয়ারের ব্যবসা রয়েছে। এ ছাড়াও তিনি মৎস্য ব্যবসায়ী। তার প্রবাসী বাবা ছেলেকে হেলিকপ্টার নিয়ে বিয়ে করতে যেতে বলেন। বাবার এমন স্বপ্ন পূরণ করতেই করোনার মধ্যে সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে কোনও স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই বিয়ের আয়োজন করেন তিনি।
জাকিরের বাবা জালাল হোসেন বলেন, আগে থেকেই জাকিরের বিয়েটা ঠিক ছিল। সে যখন ছোট ছিল তখন থেকে আমার স্বপ্ন, তাকে হেলিকপ্টারে বিয়ে করাবো। সেই স্বপ্ন পূরণ করতেই এই আয়োজন। এতে অনেক মানুষ জমা হয়ে গেছে। বুঝতে পারিনি এমনটা হবে।
বর জাকির হোসেন বলেন, বাবার ইচ্ছে পূরণ করতে তিন লাখ ৫০ হাজার টাকায় ভাড়া করে হেলিকপ্টার আনা হয়েছে । আমরা কিছু মানুষ দাওয়াত দিয়েছিলাম। তবে হেলিকপ্টার দেখে অনেক মানুষ জড়ো হয়ে যায়। এতে আমাদের কি করার আছে?
নাঙ্গলকোট থানার ওসি ফারুক হোসেন বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে আমার কাছে বিয়ের আগে এসেছিল। আমি নিষেধ করেছি। হেলিকপ্টার আনা যাবে না। তারপরও তারা এই কাজ কেন করেছে জানি না।
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লামইয়া সাইফুল জানান, বর্তমানে সরকারের বিধিনিষেধ চলছে। হেলিকপ্টারে বিয়ের বিষয়টি আমি অবগত ছিলাম না। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।