আজ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১

বাজারে বেড়েছে গরু-মুরগি ও খাসির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ১০ মার্চ ২০২৩ ১১:১৬:০০ পূর্বাহ্ন | অর্থনীতি ও বাণিজ্য

ঢাকা: বাজারে গরু ও খাসির মাংসের দাম বেড়েছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে মুরগির দাম।

 

অন্য সব পণ্যের দাম মোটামুটি অপরিবর্তিত রয়েছে। শুক্রবার (১০ মার্চ) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার ঘুরে এমনটিই জানা গেছে।  

 

বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে গরুর মাংস বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ৭৬০ থেকে ৮০০ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও গরুর মাংস বিক্রি হতো ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকায়।  

বাজারে খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫০ থেকে ১১শ টাকা দরে। আগে বিক্রি হতো এক হাজার টাকায়।

মাংসবিক্রেতা মো. রাজু বলেন, খামারির খরচ বেড়েছে। বাড়তি দামে গরু কিনে সেই দাম মেলাতেই বাড়াতে হচ্ছে মাংসের দাম।  

বাজারে আবারো দাম বেড়েছে মুরগির। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা দরে। গত সপ্তাহে ছিল ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা।  

সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা দরে। দুই সপ্তাহ আগে সোনালি মুরগির কেজি ছিল ৩১০-৩২০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা। গত সপ্তাহে লেয়ার মুরগির কেজি ছিল ৩১০-৩২০ টাকা।  

১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. আশিক বলেন, ফের মুরগির দাম বেড়েছে। ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম বাড়তি। রোজার আগ পর্যন্ত মুরগির দাম বাড়তি থাকতে পারে।  

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকারভেদে ফুলকপি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৮০-৯০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

লাউ প্রতিটি আকারভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, কচুর লতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা ও ধুন্দুল ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

কমেছে কাঁচামরিচের দাম। বাজারে কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে। দুই সপ্তাহ আগে কাঁচামরিচের কেজি ছিল ১৯০ থেকে ২০০ টাকা।  

কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়।

১১ নম্বর বাজারের সবজিবিক্রেতা মো. আমিন বলেন, দুই-একটি সবজির দাম বাড়তি আছে। অন্য সবজির দাম তেমন বাড়েনি।  
 
আগের দামেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। বড় রসুনের কেজি ১৪০ টাকা। ছোট রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে। বাজারে আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়।

বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। খোলা আটার কেজি ৬০ টাকা। প্যাকেট আটার কেজি ৬৫ টাকা। দুই কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।  

দেশি মসুরের ডালের কেজি ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৭ টাকায়। লবণের কেজি ৩৮ থেকে ৪০ টাকা।  

বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম একটু কমেছে। ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৯০-২০০ টাকা।  

ডিম বিক্রেতা মো. কোমল বলেন, ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কমেছে। ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। পাড়া-মহল্লার দোকানে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়।