আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ভাষা সৈনিক মরহুম ফজলুল হক বিএসসির ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হলো সাদামাটা ছোট্ট পরিসরে। তাঁর দল আওয়ামী লীগের তরফ থেকে কোন কর্মসূচী নেওয়া হয়নি। তবে তাঁর প্রতিষ্ঠিত মাজেদা হক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীরা তাঁকে স্মরণ করলো।
রবিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার মাজেদা হক উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ নাসির উদ্দীনের উপস্থাপনায় ও প্রধান শিক্ষক দিদারুল আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সাবেক সভাপতি সানা উল্লাহ চৌধুুরী, সদস্য আবদুল মোনায়েম চৌধুরী, সহকারি শিক্ষক মনিরুল ইসলাম, নুরুল্লাহ, সালামত উল্ল্যাহ। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মাইশা মাহজাবীন, নাজিবা সুলতানা। এসময় গ্রামের বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।
স্মরণ সভা শেষে মরহুম ফজলুল হক বিএসসি’র আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। দুপুরে এতিম ও হাফেজ শিক্ষার্থীরে কাঙ্গালী ভোজ খাওয়ানো হয়।
প্রসঙ্গত : ফজলুল হক বিএসসি ১৯২৮ সালের ১ নভেম্বর মিরসরাই উপজেলার পূর্ব মায়ানী গ্রামের সৈয়দ বাড়ির সৈয়দ আহম্মদ ও হোসনে আরার ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিলেন। ১৯৯৯ সালের ১৬ জানুয়ারি তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁকে দাফন করা হয় জাতীয় বুদ্ধিজিবী কবরস্থানে। দেশের খ্যাতনামা এ রাজনীতিবিদ একাধারে ছিলেন ভাষা সৈনিক ও বাঙালীর মহান মুক্তিসংগ্রামের একজন সংগঠক। ১৯৭০ সালে পাকিস্তান গণ-পরিষদ নির্বাচনে তিনি মিরসরাই-ফটিকছড়ি আসন থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে গঠিত বাংলাদেশ ত্রাণ কমিটির তিনি চেয়ারম্যান মনোনীত হন।