নিজেদের দেওয়া মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সেটি তুলে, নতুন মেয়াদের স্টিকার ব্যবহার করছে একশ্রেণির অসাধু খাদ্যপণ্য ব্যবসায়ী। কোথাও আবার কম মূল্যের স্টিকারের ওপর বেশি দামের স্টিকার লাগিয়ে দিচ্ছে।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অভিযানে এমন চিত্র ধরা পড়ে। অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ, সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, মো. আনিছুর রহমান ও চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. দিদার হোসেন এ অভিযানে অংশ নেন। চট্টগ্রাম এপিবিএন-৯ এর সহায়তায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সূত্র জানায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালকের অর্পিত ক্ষমতাবলে এবং জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রামের সার্বিক সহায়তায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় নগরের খুলশী ও চকবাজার থানা এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় ৫টি প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা প্রশাসনিক জরিমানা করা হয়। মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির জন্য সংরক্ষণ, মূল্য তালিকা ঘষে নতুন মূল্য সংযোজন করা, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির জন্য সংরক্ষণ, খাদ্যদ্রব্যে অননুমোদিত নিষিদ্ধ উপকরণ ব্যবহার, আমদানিকারকের সিলবিহীন পণ্য বিক্রির দায়ে এসব জরিমানা করা হয়।
ফার্মভিলে সুপার শপ ও বেকারিকে মেয়াদোত্তীর্ণ দধি, রসমলাই ও মিষ্টান্ন পণ্যের মেয়াদ শেষের পর স্টিকার তুলে নতুন মেয়াদ সম্বলিত স্টিকার ব্যবহারের দায়ে ১ লাখ টাকা, মাহমুদা ফার্মেসিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করায় ৫ হাজার টাকা, তাবা রেস্টুরেন্টেকে মূল্য তালিকায় ধার্যকৃত মূল্যের বেশিতে খাবার বিক্রি ও খাবারে অননুমোদিত উপকরণ ব্যবহারের দায়ে ৬০ হাজার টাকা, লেজেটলি রেস্টুরেন্টকে খাবারে অননুমোদিত ও মেয়াদোত্তীর্ণ উপকরণ ব্যবহারের দায়ে ৪০ হাজার টাকা, আর্টিজান ব্র্যান্ডকে জামার গায়ে প্রদত্ত মূল্য ঘষে নতুন বেশি মূল্য সংযোজন করে ডিসকাউন্ট প্রদানের দায়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তাবা রেস্টুরেন্টে একজন ভোক্তার মূল্য তালিকার চেয়ে বেশি দামে খাবার বিক্রির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. দিদার হোসেন।