ফটিকছড়ির নাজিরহাট-কাজিরহাট সড়কের দুই পাশে কঙ্কালের মতো দাঁড়িয়ে আছে বিশাল আকৃতির কিছু মরা গাছ। যে কোনো মুহূর্তে এ মরা গাছগুলো ভেঙে পড়তে পারে সড়কে চলমান যানবাহনসহ সাধারণ পথচারীদের ওপর। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটাসহ যান-মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
গতকাল রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নাজিরহাট-কাজিরহাট সড়ক যেন মৃত্যুর ফাঁদে পরিণত হয়েছে। হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের নয়াহাট থেকে কোম্পানিটিলা পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে শতাধিক আকাশমণি ও বাবলা গাছ মরে শুকিয়ে গেছে। একই রাস্তায় সুয়াবিল ও নাজিরহাট পৌরসভা অংশেও একাধিক গাছ মরে শুকিয়ে আছে। এসব গাছের ডাল প্রায়ই ভেঙে পড়ছে রাস্তায়। এতে আতঙ্কে চলাচল করছে পথচারিরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ সড়কটি নির্মাণের পর দুই পাশে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় কয়েক হাজার শিশু, আকাশমনি, বাবলা, মেহগনিসহ কয়েক প্রজাতির চারা রোপণ করা হয়। কিন্তু গত তিন-চার বছর ধরে গাছগুলো মরে যাচ্ছে। মরা গাছগুলো অপসারণ না করায় সেগুলোর ভেতরের অংশ পোকা খেয়ে ফেলেছে। ফলে মাঝেমধ্যেই এসব গাছের ডালপালা সড়কের ওপর ভেঙে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও উত্তর জেলা ছাত্রলীগ নেতা নুরুল রাব্বি বলেন, মরা গাছ গুলো ভেঙে পড়ে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এসব গাছ কেটে নতুন চারা গাছ রোপন করলে সড়কটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।
হারুয়ালছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইকবাল হোসেন চৌধুরী বলেন, গাছগুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার জানিয়েছি। কিন্তু আইনি জটিলতায় গাছগুলো কাটা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা প্রকৌশলী তন্ময় নাথ বলেন, নাজিরহাট জিসি- কাজিরহাট জিসি সড়কে অনেকগুলো গাছ মরে আছে। আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। শিগগিরই নিলাম কমিটির মাধ্যমে নিলাম করে বন-বিভাগের সাহায্যে গাছগুলো সরানো হবে।