টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশপাশ এলাকায় পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়েছে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগ। টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া হয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ২৬ নং, ২৭ নং ও মোছনী নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প প্রদক্ষিন করে বন পাহারা দল (সিপিজি)
এসময় পশু পাখি শিকার থেকে বিরত থাকা, পাহাড় ও গাছপালা কাটলে পরিবেশের উপর মারাত্মক প্রভাব বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারনা চালায়।
বুধবার (১৫ জুন) বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে টেকনাফ বন বিভাগের কর্মী ও টেকনাফ ন্যাচার পার্কের বন পাহারা দলের (সিপিজি) সদস্যদের বিশাল বহর প্রচারনায় অংশ নেয়। এসময় হ্যান্ড মাইকিং করে পাহাড়ের মাটি ও গাছ-পালা না কাটা, বনের পশু পাখি শিকার না করার জন্য বলা হয়েছে। কেউ এসব করে থাকলে সংশ্লিষ্টদের কাছে খবর পাঠানোর জন্য বলা হচ্ছে। পাহাড়ের মাটি ও গাছ কাটার ফলে পরিবেশের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ার উপরও সচেতনতামুলক প্রচারণা চালানো হয়।
এসময় মোচনী বীট কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন, কোডেকের ন্যাচার এব্ড লাইফ প্রজেক্ট টেকনাফ সাইট অফিসার শওকত উসমান, ন্যাচার পার্ক বন পাহারা দলের (সিপিজি) সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেনসহ পাহারা দলের সকল কর্মী, এনজিও কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত ১১ লাখের বেশী রোহিঙ্গাদের বসবাস উখিয়া টেকনাফে। তাদের জন্য পাহাড়ের গাছ সাবাড় করে করা হয়েছে আবাসস্থল। ফলে পরিবেশের মারাত্মক প্রভাব পড়েছে ওই অঞ্চলে। প্রায় সাড়ে আট হাজার হেক্টর পাহাড়ি জমিতে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হয়। প্রথমে রান্না-বান্নার জন্য জ্বালানি হিসেবে পাহাড়ের কাঠ ব্যবহার করা হতো। এখন প্রতিটি রোহিঙ্গা পরিবারে গ্যাসসহ সিলিন্ডার দেওয়া হয়েছে। যাতে পাহাড়ের গাছ না কাটে। তবুও কিছু রোহিঙ্গা গ্যাস বিক্রি করে দিয়ে পাহাড়ের কাঠ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে।
এদিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাঁটা তারের ঘেরা দিয়ে বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। ওই ঘেরা পার হয়ে প্রতিনিয়ত পাহাড়ের গাছ কাটা থেমে নেই। সবদিকে বন প্রহরি নেই। এ সুযোগে বনের গাছ কেটে লাকড়ি ব্যবহার করছে অনেকে। ইতিমধ্যে পাহাড়ে হাজার হাজার চারা রোপন করেছে বন বিভাগ।