ফটিকছড়ি উপজেলার প্রবেশদ্বার নাজিরহাট ঝংকার মোড় দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে লাখ লাখ মানুষ। চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি হাইওয়ে সড়কের নিয়মিত যাত্রীতো রয়েছেই। এছাড়া আধ্যাত্বিকতার স্থান মাইজভান্ডার দরবার শরীফে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভক্ত আশেকানরা আসে ঝংকার মোড় হয়ে। ব্যস্ততম এই মোড়ে এলে নিশ্চিত যানজটে আটকে থাকতে হয় যাত্রীদের। দিন দিন এই যানজট প্রকট আকার ধারণ করছে। কিন্তু যেন দেখেও দেখছেনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও জন-প্রতিনিধিদের কেউই।
যানজটের কারণ অনুসন্ধানে দেখা যায়, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, বিশৃঙ্খল সিএনজি ট্যাক্সি স্টেশন, অদক্ষ চালকের ট্রাফিক নিয়ম না মানা ও রাস্তা উপর দাঁড় করে রাখা হয় বিদ্যুৎ চালিত অটোরিকশা। এছাড়া ব্যস্ততম এই মোড়ে সড়কের উপর বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানামাও করা হয়। যা যানজটের অন্যতম একটি কারণ। এতে করে সড়কে যানজট আর পিছু ছাড়ছে না। তার উপর বিশৃঙ্খল এসব স্টেশনে শৃঙ্খলা ফেরাতে দায়িত্বশীলদের কোনো কার্যকর প্রদক্ষেপ ও তৎপরতা দেখা যায়নি।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, ঝংকার মোড়ে গাড়ির চাপের চাইতে জায়গা অনেক কম। অথচ সওজ'র মালিকানাধীন পর্যাপ্ত জায়গাও রয়েছে। ঝংকার মোড়ের ওইসব জায়গা নিয়ে সড়ক প্রশস্থ করা ও গোল চত্বর তৈরি করা গেলে যানজট আর থাকবে না বলে মন্তব্য সচেতন মহলের।
এ ব্যাপারে নাজিরহাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ঝংকার মোড়ের যানজট পুরোনো দিনের। যানজট নিরসনে কাজ করছি। জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রসাশনের সহযোগিতা নিয়ে এ যানজট দ্রুত নিরসন করা হবে। এছাড়া প্রতিনিয়ত হাইওয়ের পুলিশ সেখানে ডিউটিতে থাকে। শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদেরও মামলা দেয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম-খাগড়ছড়ি মহাসড়কটি আকারে ছোট হওয়ায় সড়কের মাঝে ডিভাইডার দেয়ার সুযোগ নেই। এছাড়া ঝংকার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ী গুলো অনত্র সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। আশাকরি দ্রুত যানজট নিরসন হবে।