চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ের মধ্যদিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো এমপি নির্বাচিত হলেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলা নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-১৩ আসনের মোট ১১৮ কেন্দ্রের ফলাফলে সাইফুজ্জামান চৌধুরী'র নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৯২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্টের মো. আবুল হোসেন (মোমবাতি) পেলেন ৫ হাজার ১৪১ ভোট। তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থীর লাঙ্গল ডিঙিয়ে প্রথম বারের মতো চট্টগ্রাম ১৩ আসনে দ্বিতীয় অবস্থান অর্জন করেন।
এছাড়াও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মুহাম্মদ হামেদ হোসাইন (চেয়ার) ১ হাজার ৬৬৮ ভোট, জাতীয় পার্টির আবদুর রব চৌধুরী (লাঙ্গল) ৩ হাজার ৩০৬ ভোট, তৃণমূল বিএনপির মকবুল আহমদ চৌধুরী সোনালী (আশঁ) ৮৩৭ ভোট, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মৌলভী রশিদুল হক (বটগাছ) ৬১৫ ভোট ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. আরিফ মঈন উদ্দিন (একতারা) পেলেন ভোট।
সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইশতিয়াক ইমন ও কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, সাইফুজ্জামান চৌধুরী ২০১৩ সালের উপ-নির্বাচনের মাধ্যমে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী হিসেবে আরও দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এরমধ্যে ২০১৪ সালে তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ভূমিমন্ত্রণালয়ের ভূমি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
তথ্য বলছে, চট্টগ্রাম-১৩ আসনে ২০১২ সালের ৪ নভেম্বর তৎকালিন সাংসদ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু'র পরলোকগমনে আসনটি শূণ্য হয়।
পরে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাঁরই সুযোগ্যপুত্র সাইফুজ্জামান চৌধুরী। এর আগে তিনি চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ছিলেন।