আজ মঙ্গলবার ৫ নভেম্বর ২০২৪, ২১শে কার্তিক ১৪৩১

চট্টগ্রামের দেউলিয়া আদালতে অস্ত্র মামলায় দুইজন আসামীর সাত বছর জেল

আদলত প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : সোমবার ৪ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:১৭:০০ অপরাহ্ন | আইন-আদালত

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানা বিগত ৯ জুলাই ২০০৫ ইংরেজি তারিখ রাত আনুমানিক ৪ঃ৩০ ঘটিকার সময় পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামী আব্দুল মজিদ ও আব্দুর সবুর এর বাড়ি লোহাগাড়া থানাধীন পশ্চিম কলা উজান এলাকায় আসামীদের বসতঘরের উত্তর মুখে দোতালা মাটির দেওয়াল দক্ষিণে ছাওনি কাঠের ঘরের ভিতরে পশ্চিম উত্তর কোনে গর্তের মধ্য থেকে ছয়টি নীল রঙের বন্দুকের কার্টুজ, তিনটি লাল রঙের বন্দুকের সচল কার্টুজ এবং একটি কালো রঙের বন্দুকের কার্টুজ, তিনটি মিস ফায়ার অচল খালি বন্দুকের কার্টুজ, একটি লাল রঙের কার্টুজ এবং একটি পলিটিনের ব্যাগের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে আসামীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার এবং জব্দ তালিকার সাক্ষীদের সম্মুখে উপরে উল্লেখিত অস্ত্র সমূহ উদ্ধার করে লোহাগাড়া থানার এ এস আই মোহাম্মদ নুরুল আমিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করিলে মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোহাম্মদ আলী নওয়াজকে তদন্তভার  প্রদান করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ আলী নওয়াজ তদন্ত করে কর্মকর্তা জব্দ তালিকা ও অন্যান্য প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মামলায় অভিযোগ পত্র প্রদান করেন। মামলাটি লোহাগাড়া থানার মামলা নং ০৩(০৭)০০৫, জি আর ১০৪/২০০৫ নম্বর ভুক্ত হয়ে আদালতে দায়রা মামলা নাম্বার - ১৫২/২০০৫ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। মামলায় আইন মোতাবেক সকল কার্যক্রম শেষে  সাক্ষ্য পর্বে অভিযোগ পত্রে উল্লেখিত মামলার বাদীসহ ১২ জন সাক্ষী হতে ১০ জন সাক্ষী  আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন। 

মামলায় আসামীদেরকে বিগত ছয় অক্টোবর ২০২৪ ইংরেজি তারিখে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৩৪২ ধারা মোতাবেক পরীক্ষা করে বিগত ৮ অক্টোবর ২০২৪ ইংরেজি তারিখে যুক্তিতর্ক সম্পন্ন হয়।

 

৪ নভেম্বর ২০২৪ ইংরেজি তারিখ মামলার রায়ের ধার্য্য তারিখে আসামী আব্দুস সবুর পক্ষে নিয়োজিত বিজ্ঞ আইনজীবী সময়ের আবেদন করে কিন্তু সময়ের আবেদন শুনানি না করায় আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর হয়, অপর আসামি পালাতক ছিল। আদালত মামলার এজাহার, এফআইআর, চার্জশিট ও জব্দ তালিকা এবং বিজ্ঞ আদালতে উপস্থিত হওয়া সাক্ষীদের জেরা , জবানবন্দী ও উভয় পক্ষের যুক্তিতর্কের আলোকে আসামীদের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ও দয়রা জজ দেউলিয়া বিষয়ক আদালতের বিচারক জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম আসামীদেরকে ৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। আসামীরা রায়ের সময় পলাতক ছিলেন। আসামী আব্দুল মজিদ ও আব্দুর সবুর সহোদর ভাই এবং চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানাধীন কলা উজান গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র। মামলার বাদী /রাষ্ট্র পক্ষে দায়িত্ব পালন করেন আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট মোঃ সরোয়ার হোসাইন লাভলু, এবং তাকে সহযোগিতা করেন আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোঃ ফরিদুল আলম, মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এবং মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম।

 

রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট মোঃ সরোয়ার হোসাইন লাভলু বলেন রাষ্ট্রপক্ষে আসামীদের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনার বিষয়ে সন্দেহতীত প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে এবং আসামীদেরকে উপযুক্ত শাস্তি দিয়েছে আদালত এবং ন্যায় বিচার নিশ্চিত হয়েছে।