আজ শুক্রবার ৩ মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামের জেএমবি প্রধানের মামলার রায় ৯ মে

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ১১ এপ্রিল ২০২৩ ০৫:২৫:০০ অপরাহ্ন | আইন-আদালত

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির (জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ) চট্টগ্রাম জেলা কমান্ডারসহ ৪  জনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য আগামী ৯ মে ধার্য করেছেন আদালত। নগরের আকবর শাহ থানার মীর আউলিয়ার মাজার সড়কের এনআর স্টিল মিলের সামনে থেকে বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে এ মামলা হয়েছিল।

  

 

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত যুক্তি-তর্ক শেষে রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন। এ সময় চার আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

 
 

 

 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. নোমান চৌধুরী ও আসামিরা প্রত্যেকে নিজের পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আগামী ৯ মে রায়ের জন্য আদালত দিন ধার্য করেছেন বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ। যুক্তিতর্ক শুনানিতে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাডভোকেট মো.নোমান চৌধুরী এর বিরোধিতা করেন ।

চারজন হলেন- দিনাজপুরের সরকারপাড়া গ্রামের মো. রিয়াজুল ইসলামের ছেলে জেএমবি চট্টগ্রামের কমান্ডার এরশাদ হোসাইন প্রকাশ মামুন (২০), জেএমবি সদস্য গাইবান্ধার তুলশীপাড়ার মৃত আক্তার হোসেন সরকারের ছেলে বুলবুল আহমেদ সরকার প্রকাশ ফুয়াদ (২৬), ঝিনাইদহের কোর্ট চাঁদপুরের মমিনুল ইসলামের ছেলে মো. সুজন (২৪) ও কর্ণফুলী থানার ইছানগরের আব্দুল গণির ছেলে মাহাবুবুর রহমান প্রকাশ খোকন (৩৫)।  

মামলার নথি থেকে জানা যায়, নগরের আকবরশাহ থানার এনআর স্টিলমিলের সামনে ওয়াসিমের ভাড়া ঘর থেকে ২০১৫ সালে ২৩ মার্চ জেএমবির গোপন বৈঠক চলছিল। এ সময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, জিহাদি বইসহ এরশাদকে গ্রেফতার করে। অভিযানের সময়ে অন্য আসামিরা পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় আকবর শাহ থানার এসআই শহিদের রহমান বাদী হয়ে এরশাদকে আসামি করে ও দুই থেকে তিনজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ (সংশোধিত ২০১৩) ও বিস্ফোরক উপাদানবলী (সংশোধন) আইন ২০০২ ধারায় মামলা করেন। ২০১৫ সালের শেষের দিকে নগরের কর্ণফুলী থানায় দায়ের হওয়া ভিন্ন তিনটি মামলায় বুলবুল আহমেদ সরকার, মো. সুজন ও মাহাবুবুর রহমান প্রকাশ খোকনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের তিনজনকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।  ২০১৬ সালের ৮ এপ্রিল চারজনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পৃথক অভিযোগ এনে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট জমা দেন আকবর শাহ থানার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ সোলায়মান। ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে বিস্ফোরক আইনের মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়।