চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ দেশের সেরা জেলা পরিষদে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি।
শনিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে জেলা পরিষদ টাওয়ারের মূল ভবনের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে জেলা পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে জেলা পরিষদ চট্টগ্রাম আয়োজিত উদ্যোগে অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত দারিদ্র্য নিরসন ও নারী উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গরীব,অসহায়,দুঃস্থ প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মাঝে সেলাই মেশিন ও আত্মকর্মসংস্থানমূলক সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠান,গৃহহীনদের জন্য নির্মিত গৃহের চাবি হস্তান্তর অনুষ্টানে প্রধান অতিথির বক্তব্য মন্ত্রী উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি আরও বলেন শুধুই উন্নয়নমূলক কাজ দিয়ে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সারাদেশে এগিয়ে না,চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ আয়ের দিক দিয়েও সারা দেশে এক নাম্বারে,এমনকি ঢাকা জেলা পরিষদও চট্টগ্রামের মত কাজ করে দেখাতে পারেনি।
মন্ত্রী বলেন,বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে জেলা পরিষদকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে জেলা পরিষদের আইন পরিবর্তনের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ও সম্মতিতে গত মন্ত্রীসভায় আইনটি পাশ করা হয়,নতুন আইনে সদস্য নির্বাচিত হবেন প্রতি উপজেলা থেকে ১ জন করে পদাধিকারবলে সদস্য হবেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌরসভা মেয়র | সমন্বয় সভায় অংশ নেবেন সিটি মেয়র বা প্রতিনিধি এবং ইউ এন।
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ,চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করীম চৌধুরী,এতে জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রধান সাব্বির ইকবাল,প্রকৌশলী মিসবাহ উল আলম,পরিষদের সদস্যবৃন্দ,প্রকৌশলী-কর্মগকর্তাণ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা পরিষদের ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্টানে মোনাজাত পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের প্রফেসর ও সিডিএ মসজিদের খতীব ড.মাওলানা গিয়াস উদ্দীন তালুকদার।
আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি সময়সল্পতার কারণে ৩ জন প্রশিক্ষণার্থীর মাঝে সেলাই মেশিন ও ৩ জন গৃহহীনদেরর মাঝে ঘরের চাবি তুলে দেন।
পরে মোট ৩৬৮ টি সেলাই মেশিন প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়,গৃহহীনদের মাঝে মোট ৫০ টি গৃহের চাবি হস্তান্তর করা হয়।
আরও ১০ টি গৃহ স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় হতে বরাদ্দের কথা জানান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম।
প্রতিটি গৃহের প্রাক্কলিত ব্যয় হয় ৫,৬৮,০০০ টাকা।
১৬তলা বিশিষ্ট আধুনিক জেলা পরিষদের মূল ভবনটির ডিজাইনার মহসিন মিঞা।