আজ রবিবার ১৯ মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রশাসন ও বন বিভাগের যৌথ অভিযান

চকরিয়ায় উপজেলায় ২ টি স'মিল উচ্ছেদ ও ২ টি সেলোমেশিন জব্দ

এম.মনছুর আলম, চকরিয়া : | প্রকাশের সময় : সোমবার ২ অক্টোবর ২০২৩ ০৯:১৮:০০ অপরাহ্ন | দক্ষিণ চট্টগ্রাম

কক্সবাজারের চকরিয়ায় উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের যৌথ অভিযান চালিয়ে ডুলাহাজারা এলাকা থেকে ২টি অবৈধ স'মিল উচ্ছেদ ও মাতামুহুরী নদী থেকে ভাসমান বেইজের উপর স্থাপিত অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ২টি সেলোমেশিন পাইপসহ জব্দ করা হয়েছে।

 

সোমবার (২ অক্টোবর) বেলা ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা 

ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেপি দেওয়ান।

 384523445_163505146813821_7895566284482816521_n

অভিযান সূত্রে জানাগেছে, চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা এলাকায় বেশকিছু দিন ধরে কোন ধরণের বৈধ কাগজপত্র ছাড়া অবৈধ ভাবে স'মিল বসিয়ে কাঠ চিরাই করে আসছে। বিষয়টি বনবিভাগের নজরে আসলে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় সোমবার অভিযান পরিচালনা করেন। ওই সময় অভিযানে নেতৃত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা 

ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেপি দেওয়ান ২টি অবৈধ স'মিল উচ্ছেদ করে অর্থদন্ড প্রদান করেন। অপর দিকে একইদিন বিকেলে মাতামুহুরী নদীতে ভাসমান বেইজের ওপর সেলোমেশিন

বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছিল কতিপয় অসাধু বালু ব্যবসায়ী। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান 

আদালতের টিম অভিযান চালায়।অভিযানের সময় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মাতামুহুরী নদী থেকে বালি উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত ২টি সেলোমেশিনসহ বিপুল পরিমাণ পাইপ জব্দ করা হয়। আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পৃথক দুটি অভিযানে তিনটি মামলায় ৬০ হাজার টাকা অর্থদন্ড আদায় করেন।

 

অভিযানের ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের যৌথ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ডুলাহাজারা এলাকায় ২টি অবৈধ স'মিল উচ্ছেদ করা হয়েছে। এছাড়ও মাতামুহুরীর নদীতে দীর্ঘদিন ধরে এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি অনুমোদন ব্যতিত আইন লঙ্ঘন করে ভাসমান বেইজের ওপর সেলোমেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল। অভিযানের সময় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ২টি সেলোমেশিন পাইপসহ জব্দ করা হয়।

তিনি আরো বলেন, অবৈধ স'মিল বসিয়ে ব্যবসা করার অপরাধে দুই স'মিল মালিক ও বালি উত্তোলনকারী বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান 

আদালতের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট আইনে তিনটি মামলার বিপরীতে ৬০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়। আদালতের

এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।