ঈদ উপলক্ষে কক্সবাজারে হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসের প্রায় ৫০ শতাংশ কক্ষের আগাম বুকিং দিয়েছেন পর্যটকরা। ঈদের আগে আগে ৮০ শতাংশ বা শতভাগ কক্ষের বুকিং হয়ে যেতে পারে। হোটেলগুলোতে এখন চলছে ঈদ আনন্দ কাটাতে আসা পর্যটকদের বরণ করার প্রস্তুতি।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ও সৈকতের ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
তবে, কটেজ ও ফ্ল্যাট ব্যবসায়ীরা আগাম বুকিং দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।
কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের (চুয়াক) সভাপতি আনোয়ার কামাল বলেন, পুরো রমজান মাস বন্ধ ছিল। তবে, আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে লাখেরও বেশি পর্যটক সমাগম হবে বলে আশা করছি। হোটেল-মোটেলেও প্রায় অর্ধেক কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, প্রতি বছরই রমজান মাসে পর্যটকশূন্য থাকার সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউসের সাজসজ্জাসহ সব ধরনের মেরামতের কাজ হয়ে থাকে। সাজসজ্জা আর প্রস্তুতির কাজ এখন প্রায় শেষ। এরই মধ্যে হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসে প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি কক্ষ বুকিং দিয়েছেন পর্যটকরা। ঈদের আগের দিনগুলোতে বাকি কক্ষগুলোও বুকিং হয়ে যেতে পারে।
সৈকতের লাবণী পয়েন্ট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাবিব উল্লাহ বলেন, ঈদের পর ব্যবসার জন্য নতুন করে মালামাল ওঠানোসহ সব রকমের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে রমজানের কারণে কক্সবাজারের হোটেল-রেস্তোরাঁ ও পর্যটন-সংশ্লিষ্ট ব্যবসাগুলো বন্ধ রয়েছে। বিশেষ করে সৈকত এলাকার ঝিনুক, আচার, মাছ ফ্রাই ও কাপড়ের দোকানগুলো ৯০ শতাংশ বন্ধ আছে। এতে আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ খাতের অনেকে বেশ কষ্টে আছেন।
হোটেল-মোটেল-গেস্টহাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বলেন, রমজানের শুরুতে পর্যটক না থাকায় বহু হোটেল-কটেজ কর্মচারী ছাঁটাই করেছে। এতে পুরো রমজান ও ঈদে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে দিন পার করতে হচ্ছে তাদের।
কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান জানান, ঈদের ছুটিতে এখানে প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটবে। তাই, পর্যটকদের সেবা নিশ্চিত করতে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আগে থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছে টুরিস্ট পুলিশ।