গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ১৭৬ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন নয় হাজার ৫০০ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৪২ হাজার ২৯৪ জন।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪৭৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ২৬৮ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৫৫টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩৭ হাজার ৫৭৩টি এবং নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৭ হাজার ৮৩০টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ১৯ লাখ ৬৬ হাজার ২৮৯টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ১১ শতাংশ, যা গতকাল ছিল ২৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭২ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১২ জনের ১০ জন পুরুষ এবং দুইজন নারী। মৃত ১২ জনের মধ্যে ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে দুইজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে দুইজন রয়েছেন।
এতে আরও বলা হয়, মৃত ১২ জনের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগের আটজন এবং চট্টগ্রাম বিভাগের দুইজন, রাজশাহী বিভাগের একজন এবং সিলেট বিভাগের একজন। মৃত ১২ জনের আটজন সরকারি হাসপাতালে এবং তিনজন বেসরকারি হাসপাতালে এবং একজন বাড়িতে মারা গেছেন।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন এক হাজার ৪১ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১৫৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন তিন লাখ ৯৩ হাজার ২১৬ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ৫৭ হাজার ৪৮৪ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৩৫ হাজার ৭৩২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।