আজ শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই মাঝি নিহতের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ৩

ইমাম খাইর, কক্সবাজার : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১১ অগাস্ট ২০২২ ১২:৩৩:০০ অপরাহ্ন | কক্সবাজার প্রতিদিন

উখিয়ার জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই মাঝি নিহতের ঘটনায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নিহত আবু তালেবের স্ত্রী তৈয়বা খাতুন বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) উখিয়া থানায় মামলাটি করেন।

যার মামলা নং ৫৩/২২।

এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন, জামতলী ১৫ নং ক্যাম্পের জাফর আলমের ছেলে মাহামুদুল হাসান (২৭), মৃত সোনা আলীর ছেলে সাহ মিয়া (৩২), তার ভাই আবুল কালাম ওরফে জাহিদ আলম (২৫), মৃত রশিদ আহম্মেদের ছেলে জাফর আলম (৫৪) ও তার ছেলে মো. সোয়াইব।

পূর্ব শত্রুতার জেরে এই জোড়া খুনের সঙ্গে আবুল কাশেমের ছেলে সাবমাঝি রেজাউল আলম (৪২), জাফর হোসেনের ছেলে সাবমাঝি মো. ইয়াছিন এবং ইসমাঈলের ছেলে (ভলান্টিয়ার) নুর মোহাম্মদ (৩২) জড়িত থাকার সন্দেহ রয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোঃ কামরান হোসেন।

তিনি জানান, ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জামতলি পুলিশ ক্যাম্প বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করে।

তারা হলেন, ক্যাম্প-১৫ ব্লক-সি/১ (ঘর নং-৬৮) এর সোনা মিয়ার ছেলে সাহা মিয়া (৩২), ব্লক-সি/৬ (ঘর নং-৬৫৮) এর জাফর আলমের মোঃ সোয়াইব (১৯) ও ব্লক-সি/৬ (ঘর নং-৬৪৮) এর রশিদ আহম্মেদের ছেলে জাফর আলম (৫৪)।

মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) দিবাগত রাত পৌনে বারোটার দিকে ক্যাম্প-১৫ এর সি-৯ ব্লকের দুর্গম পাহাড়ের ঢালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ২ রোহিঙ্গা নেতা নিহত হন। 

তারা হলেন, ক্যাম্প-১৫ ব্লক-সি/১ এর আব্দুর রহিমের ছেলে হেড মাঝি আবু তালেব (৪০) এবং সি/৯ এর ইমাম হোসেনের ছেলে সাব ব্লক মাঝি সৈয়দ হোসেন (৩৫)।

এদিকে, দুইজনের মৃতদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেন উখিয়া থানা পুলিশ।

১০ আগস্ট রাতে ক্যাম্প-১৫ এর খাবার বিতরণ কেন্দ্র সিম কার্ডের সামনে জানাযা শেষে ডি ব্লক কবরস্থানে দাফন করা হয়। 

পূর্বশত্রুতার জেরে ৮-১০ জন দুষ্কৃতিকারী ক্যাম্প-১৫ এর সি-৯ ব্লক থেকে অনুমান ১৫০ ফিট উপরে দুর্গম পাহাড়ের ঢালে জনৈক আছিয়া বেগমের শেড নং-১০১০ এর সামনে  সৈয়দ হোসেন ও আবু তালেবকে গুলি করে পালিয়ে যায়। 

খবর পেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় দুইজনকে উদ্ধার করে জামতলী এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈয়দ হোসেনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা দেন। 

গুরুতর আহত অপরজন আবু তালেবকে আশংকাজনক অবস্থায় কুতুপালং হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসক। সেখানে তিনিও মারা যান। হত্যাকাণ্ডটি পূর্বপরিকল্পিতভাবে সংঘটিত হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।

উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, নিহত আবু তালেবের স্ত্রী তৈয়বা খাতুনের সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রেকর্ড করা হয়। এ পর্যন্ত এজাহারভুক্ত তিনজন আসামি গ্রেফতার হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সকলকে গ্রেফতার করা হবে।