আজ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১

ঈদগাঁওয়ের ইসলামাবাদ শাহ ফকির বাজারের বার্মায়া ভুয়া এম,বি,বিএস ডাক্তার র‌্যাবের হাতে আটক

মোঃ মিজানুর রহমান আজাদ, ঈদগাঁও : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ২০ জানুয়ারী ২০২২ ০৮:১৪:০০ অপরাহ্ন | দক্ষিণ চট্টগ্রাম

ককসবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের শাহ ফকির বাজারে তথা থানার সামনে রাতা রাতি সাইনবোড বদলিয়ে নিজেকে শিশু চিকিৎসক ও এম বিবিএস পরিচয় দিয়ে একের পর এক নারী কেলেংকারীতে জড়িয়ে পড়ে এ কথিত বার্মায়া যুবক নুর মোহাম্মদ জিন্নাত। তার আসল নাম কিন্তু নুর মোহাম্মদ।  ডুলাফকির রাস্তার মাথায়  এক সময়  একজন যুবক দুঃঘটনায় মৃত্যু বরন করলে কৌশলে তার সাল্টিফিকেট ব্যবহার করে রাতা রাতি ডাক্তার বনে যান। মুলত সে ইসলামাবাদের খোদাই বাড়ী এলাকায় বাড়া বাসায় বসবাস করা কালীন এক প্রতারকের সাথে বীমার কাজ শুরু করে। বীমার কাজে থাকা কালীন রামু উপজেলার ঈদগড় পানমাইস্যা ঘোনা এলাকার সাবেকুন্নার নামের এক মেয়ে কে বিয়ে করলে তার গর্ভে একটি কন্যা সন্তান ও জন্ম গ্রহন করে।পরে ওই মহিলার সাথে প্রতারনা করে অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করলে সাবেকুন্নাহার সে সময়ে নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করলে দীর্ঘদিন কারাবাসে ও থাকে এ কথিত শিশু চিকিৎসক। পরে সে মুক্তি পেয়ে এম আর কোন্পানীতে জয়েন করে এবং  দীর্ঘদিন যাবত এ কোম্পনীতে চাকরী করার সুবাদে সে নিজেকে পল্লী চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় দোকানে সাইনবোড টাংগিয়ে মানুষের ঘরে ঘরে দিয়ে চিকিৎসা দেয়।কয়েক বছর যেতে না যেতে শাহ ফকির বাজারে ঔষদের, ফার্মেসী দিয়ে ওই পেশায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল।  ৩য় আরেকটি বিয়ে করে। ওই সময়ে নাপিত খালিস্থ ঝইনঝইন্যা ব্রীজের উত্তর পাশের কাসেম নামের এক ব্যক্তির মেয়েকে কৌশলে ধর্ষন করলে সে সময় ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেয়। এরই  ফাঁকে এই ডাক্তার বিদেশ যাওয়ার ভান করে কিছু দিন আত্নগোপনে চলে যায়। দু মাস পর এলাকায় এসে নিজেকে এম বি বি এস ডাক্তার তথা শিশু রোগেরর ডাক্তার পরিচয় দিয়ে আবারো সাইনবোর্ড পাল্টিয়ে ফেলে। সুত্রে প্রকাশ এম বি এস সাল্টিফেটের জন্য নাপিত খালী ভিজেজার পাড়ার এক যুকবকে দেড় লক্ষ টাকা প্রদান করলে তার টাকা গুলো খেয়ে ফেলে। এ ঘটনায় জিন্নাত মামলা দায়ের করে ওই যুকবকে জেল ও খাটায়। এদিকে রাতের বেলায় হাজ্বী পাড়ার সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর তাসলিমার সাথে গভীর রাতে অনৈতিক অবস্থায় হাতে নাতে ধরা পড়লে তার দোকান বন্ধ করে পালিয়ে গিয়ে রামুর খুনিয়া পালংয়ের থোয়াইংকাটা এলাকায় মিছমিল্লাহ মেডিকেল হল খুলে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে। গত ১৮ জানুয়ারী র্যাব এ ভুয়া এম বি বি এস ডাক্তার কে আটক করে থানায় সোপর্দ করে।  পরে থানা তাকে জেল হাজতে প্রেরন করে। জিন্নাত নিজেই দীর্ঘদিন যাবত রংপুরের রফিকুল ইসলামের সনদের কোড ব্যবহার করে নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে আসছিল। বর্তমানে তার মা কুতুপালং ক্যাম্পে তার ভাই দিল মোহাম্মদ তেতুলতলী এলাকায় রয়েছে। মুলত সে একজন বার্মায়া যুবক। কিভাবে ন্যাশনাল আইডি কার্ড করল তা খতিয়ে দেখা জরুরী।