আওয়ামী লীগের অবস্থান দেশেও নেই বিদেশেও নেই : কর্ণফুলীতে শামীম

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, জনগণ এখন রাস্তায় নেমে গেলো। এখন আর তাদের (আ.লীগকে) ভয় পাই না। তারা বন্দুকের নল দিয়ে ক্ষমতা দখল করে নিয়েছে। 

শনিবার (০২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার মেগা কনভেনশন কমিউনিটি সেন্টারে জুলধা ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিএনপি এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। আওয়ামী লীগের অবস্থান দেশেও নেই বিদেশিও নেই। আওয়ামী লীগ একটা অস্বাভাবিক সরকার। তারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে, তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নই। 

২০১৪ সালে একতরফা নির্বাচন হয়েছে। ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। 

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা মানসকন্যা নই, শেখ হাসিনা দানবকন্যা, গুমের কন্যা, খুনের কন্যা খুব শীঘ্রই হাসিনা সরকারের পতন হবে। সরকার পতনে জনগণের যে স্রোত শুধু এইখানে নই সারাদেশে। 

বিচার বিভাগ পেতিনা হাসিনা সরকারের অধীনে চলে, সেপ্টেম্বরের মাস আন্দোলনের মাস। আমরা এখন থেকে সরকার পতনের বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করব। আমাদের আন্দোলন সংগ্রামে বাঁধা হলে প্রতিরোধ করা হবে। 

শামীম বলেন, আমরা ভোট চাই তবে শেখ হাসিনার অধীনে নই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই।এখনো সময় আছে ভালোই ভালোই কেটে পড়েন না হয় পালানোর সুযোগ পাবেন না। বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে রাখা হয়েছে। আন্দোলন সংগ্রাম করে তাকে মুক্ত করব। ভোট ডাকাত শেখ হাসিনা, ভোট চোর শেখ হাসিনা। 

জুলধা ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কাজী মঈনুদ্দিনের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এস.এম. মামুন মিয়া। 

জুলধা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মো. সালাউদ্দীনের সঞ্চলনায় এতে প্রধান বক্তা ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান। 

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক এনাম, সদস্য এডভোকেট এস. এম. ফোরকান, কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাজী মো. ওসমান। 

এতে বক্তব্য দেন, জেলা বিএনপির সদস্য মনির আলম ছোটন, কর্নফুলী উপজেলা সিনিয়র  যুগ্ম আহবায়ক ডা. গিয়াস উদ্দিন ফয়সাল, যুগ্ম আহবায়ক আবদুল গফুর মেম্বার, বড়উঠান ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইদ্রিস হায়দার নয়ন, চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এটিএম হানিফ, শিকলবাহা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আবু তাহের, চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব সেলিম খান, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক রবিউল হোসেন রবি, শিকলবাহা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু তৈয়ব কন্টাক্টর, শিকলবাহা ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক সোলাইমান দোভাষী, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব কামরুদ্দিন সবুজ। 

সম্মেলনে অন্যান্যদের মাঝে  উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মঈনুদ্দিন মনির,  জেলা যুবদলের সহ-সম্পাদক  মোহাম্মদ আলমগীর, দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন, সহ-সাংগঠনিক জসীম উদ্দীন জুয়েল, জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শফিউল করিম, কর্ণফূলী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ফারুক, সদস্য সচিব দিদারুল আলম,  কর্নফূলী উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব মোহাম্মদ শামীম, কর্ণফূলী উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি তৈয়বুল আলম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনির, জেলা ছাত্রদলের জেলা ছাত্রদলের সদস্য মোহাম্মদ হারুন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মোহাম্মদ মনির আহমদ, মোহাম্মদ রুবেল, কর্ণফূলী উপজেলা ছাত্রদল নেতা শাখাওয়াত হোসেন মিশু, এ, জে চৌধুরী কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম, মোঃ সাদ্দাম, আরিফ, জালাল, ফয়সাল, আসিফ। 

এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপজেলা, ইউনিয়ন- ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

পরে কাজী মঈনুদ্দিনকে সভাপতি মো. সালাউদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক এবং মো. ওয়াসিমকে সাংগঠনিক করে জুলধা ইউনিয়ন বিএনপির আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।