সন্দ্বীপে ৩১ মে শুক্রবার থেকে ২ জুন রবিবার পর্যন্ত পৃথক ভাবে চারটি ইউনিয়নে পানিতে ডুবে ৬ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এতে কালাপানিয়া ২ জন, উরির চরে ২ জন,হারামিয়া ১ জন,মাঈটভাঙ্গা ১ জন, ২ জুন
উড়িরচর বাংলা বাজারের ব্যবসায়ী মোঃ সিরাজ সওদাগরের ছেলে এবং প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স উড়িরচর শাখার কর্মি কামরুল হাসান এর ভাতিজা আদনান পুকুরের পানিতে ডুবে মৃত্যু বরণ করে। এর আগে ১ জুন শনিবার দুপুর ২ টায় ঢাকা থেকে নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে হারামিয়া দৌলত খার বাড়ির নূরছাপা সওঃ মেয়ের ঘরের ছেলে। ছেলে ৪ বছর বয়সী একটি শিশু পানিতে ডুবে মৃত্যু বরণ করে। একই দিন কালাপানিয়া ইউনিয়নে পানিতে পড়ে বিকেল ৪ টার সময় ৭ নং ওয়ার্ডের আবদুর রাজ্জাক সওদাগর ইকবালের মেয়ে ২ বছর বয়সী শিশু পানিতে পরে মৃত্যু বরণ করে। এর আগে মাইটভাংগা ইউনিয়নে ও পানিতে ডুবে একজন শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সন্দ্বীপে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু কেন বাড়ছে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও প্রাক্তন সভাপতি এবং ডিজাস্টার এন্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (দাদুর) নির্বাহী ড. মোঃ ইদ্রিস আলম বলেন শিশু মৃত্যু প্রথম ও প্রধান অভিভাবকদের সচেতনতা অভাব। তাছাড়া পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু জনসচেতনতা বৃদ্ধি, শিশুদের সঠিক তত্ত্বাবধান, পুকুর-জলাশয়ে বেষ্টনী দেয়া ও ৪-৫ বছর বয়সে শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণ দিতে হবে,
উপযুক্ত ইউনিয়নে শিশু মৃত্যু নিবারণের যেমন- ১) বয়স্কদের সচেতনতা সৃষ্টি ২) গ্রামে শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রের স্থাপন ৩) পুকুর-জলায়ে নিরাপদ বেষ্টনীর প্রদান , এবং ৫) সাঁতার প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। এসব নিবারণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু যথেষ্ট কমবে বলে আশা করা যায়।