আজ বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিশু শিক্ষায় কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা পদ্ধতির অপরিহার্যতা ও নানা কথা :- মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম

Author Thedaily Shangu | প্রকাশের সময় : শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১০:৪৮:০০ অপরাহ্ন | মতামত

  বাংলাদেশের কিন্ডারগার্টেন সমুহ ব্যক্তি মালিকানায়

প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত হলেও সরকার থেকে তেমন কোন রকম সাহায্য সহযোগিতা তারা পায় না।

বর্তমানে বিনা মুল্যের বই পেয়ে থাকলেও অন্য কোন 

 অনুদান বা কোন রকম কোন সুযোগ সুবিধা তাদের দেয়া হয় না।

এমনকি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক কিন্ডারগার্টেন সমুহ কে এখনও পর্যন্ত স্বীকৃতি ও দেওয়া হয়নি। বর্তমানে সরকারের শিক্ষাক্ষেত্রে উদার নীতি প্রশংসার দাবি রাখে।

সরকার,সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর প্রতি যতটা আন্তরিক কিন্ডারগার্টেন সমুহের প্রতি কোন সরকার কোন সময় ততটা আন্তরিক ছিলো না বলে এই শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে যারা সম্পৃক্ত তারা মনে করেন।

অনেকের মতে,সরকার চায় না এ ধরনের শিক্ষাপদ্ধতি  বাংলাদেশে থাকুক।

দুুঃখজনক হলেও সত্য বাংলাদেশের প্রায় সব সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে,গ্রামে বা শহরে শিক্ষার মান কখনও আধুনিক মানের ছিল না,এখনও মানসম্মত নয়এমনকি এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে  শিক্ষকরা যথাসময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকে না এবং তারা পাঠ দানে সবাই সব সময় অমনযোগী থাকে কেননা অনেকের মতে,এসব বিষয়ে তাদের কোন কারন দর্শাতে হয় না।

সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য তেমন কোন শিক্ষক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই বলে জানা যায়। মাস শেষে এ সব শিক্ষকরা সরকার থেকে মোটা দাগের বেতন পেয়ে সন্তুষ্ট থাকেন।এ সব প্রাথমিক শিক্ষার মান নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

অন্যদিকে,কিন্ডারগার্টেন সমুহে প্রাথমিকস্তরে এ দেশের প্রায় অর্ধেক ছাত্র ছাত্রী শিক্ষা গ্রহন করে থাকে।দেশের শিক্ষার ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে কিন্ডারগার্টেন সমুহের শিক্ষা পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে নিঃসন্দেহে তা বলা যায়।

জানা গেছে, বাংলাদেশে একটি মাত্র সংগঠন রয়েছে তা হচ্ছে,বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন (১০২৮/ ৯৮) কিন্ডারগার্টেন স্কুল সমুহের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে তারা আন্তরিক হয়ে কাজ করছে।

বর্তমানে সারা বাংলাদেশে সংগঠনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ইসকান্দার আলী হাওলাদারের নেতৃত্ব-শিক্ষাবিস্তারে এ

   সংগঠন গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা রাখছে যা প্রশংসার দাবী রাখে। 

এই সংগঠনের রেজিষ্টেশন নম্বর ব্যবহার করে এই নামে বা ভিন্ন ভিন্ন নামে শত সংগঠন গড়ে উঠেছে। অনেকের মতে যত্রতত্র যেমন কেজি স্কুল বা কিন্ডারগার্টেন গড়ে উঠছে তেমনি পদ পদবীর জন্য ভিন্নভিন্ন নামে প্রায় শত শত সংগঠন কিন্ডারগার্টেন শিক্ষাপদ্ধতির উন্নয়নে তারা তেমন কোন ভুমিকা রাখেনি।

তারা বাৎসরিক একটি বৃত্তি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা ছাড়া কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন কাজে আসে না এমনকি

কিন্ডারগার্টেন সমুহের নায্য দাবি আদায়ে তারা কোন আন্দোলন বা ঐক্যমতে পোঁছাতে পারে না। 

 

রেজিঃ বা বিভিন্ন অজুহাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হতে তারা টাকা আদায় করে থাকে বলে কেউ কেউ দাবি করেন।

তাহা ছাড়া প্রতি পাঁচ বছর পর সরকার আসে সরকার যায় প্রতি বারে প্রত্যেক সরকার এ শিক্ষা পদ্ধতির উপর বিমাতা সুলভ আচরণ করে বলে অনেকে মনে করেন।

 

আমাদের দেশে বর্তমানে অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। সরকার উন্নয়ন করছে,গনতান্ত্রিক দেশে শিক্ষা ও উন্নয়নের জন্য নাগরিকদের সুযোগ সুবিদার কথা সংবিধানে স্বীকৃতি হলে ও শিশুদের মেধা বিকাশে কিন্ডারগার্টেন সমুহের যে অবদানকে তা পুরো পুরি যেন আজ অস্বীকার করা হচ্ছে।

কিন্ডারগার্টেন বা সম-মানের প্রতিষ্ঠানে যে সব শিশুরা 

   বা ছাত্র ছাত্রীরা লেখাপড়া করে এই স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও তারা বিভিন্ন সুযোগ সুবিদা হতে আজ বঞ্চিত।

অন্যদিকে এ একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেন্জ মোকাবিলা করতে হলে প্রত্যেক নাগরিককে সুশিক্ষায় শিক্ষিত ও সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে হলে সুন্দর,সুষ্ঠ নীতি মালার আলোকে সহজ শর্তে রেজিস্টেশনসহ কিন্ডার - গার্টেন বা সমমানের স্কুল সমুহ কে পরিচালনা করতে সহজ নীতিমালা প্রণয়নের কোন বিকল্প নেই।

 

বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নত নয়,পরিবেশ মানসম্মত নয় এক কথায় অকার্যকর বিধায় দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠি প্রায় ৫০-৬০ লক্ষ ছাত্র ছাত্রী এসব প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে।

 জার্মান শিক্ষাবিদ,দার্শনিক ফ্রোয়েবল কিন্ডারগার্টেন (শিশুদের বাগান) নামে যে শিক্ষা পদ্ধতি প্রবর্তন করেন তা হচ্ছে শুধু শিশুর দৈহিক ও মানসিক শক্তির জাগরন যেখানে যথাযত পর্যবেক্ষন করা হয় এবং এর মাধ্যমে  প্রয়োজনীয় তত্বাবধানে তাদের জাগিয়ে দেয়া হয় তাতে শিশুরা তাদের নিজস্ব প্রকৃতি,চরিএ ও জীবনের প্রকৃত বিকাশ সাধনে সমর্থ হয় এবং ঐ অবস্হায় নিজে নিজে শিক্ষা প্রাপ্ত হয় তখন সে শিক্ষা উন্নত এক জাতি গঠনে ভুমিকা রাখে।

শিশুরা বড় হবে শিক্ষার প্রভাবে,শিক্ষা তাদের জীবনে পূর্ণতা দিবে।দরকার শুধু যুগোপযোগী শিক্ষা।এ শিক্ষা পদ্ধতিকে স্বীকৃতি দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্হা কে নতুনভাবে সাজাতে হবে বলে বর্তমানে অনেকে মনে করেন।

 

আমাদের দেশে বর্তমানে অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। সরকার উন্নয়ন করছে,গনতান্ত্রিক দেশে শিক্ষা ও উন্নয়নের জন্য নাগরিকদের সুযোগ সুবিদার কথা সংবিধানে স্বীকৃতি হলে ও শিশুদের মেধা বিকাশে কিন্ডারগার্টেন সমুহের যে অবদানকে তা পুরো পুরি যেন আজ অস্বীকার করা হচ্ছে।

কিন্ডারগার্টেন বা সম-মানের প্রতিষ্ঠানে যে সব শিশুরা 

   বা ছাত্র ছাত্রীরা লেখাপড়া করে এই স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও তারা বিভিন্ন সুযোগ সুবিদা হতে আজ বঞ্চিত।

অন্যদিকে এ একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেন্জ মোকাবিলা করতে হলে প্রত্যেক নাগরিককে সুশিক্ষায় শিক্ষিত ও সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে হলে সুন্দর,সুষ্ঠ নীতি মালার আলোকে সহজ শর্তে রেজিস্টেশনসহ কিন্ডার - গার্টেন বা সমমানের স্কুল সমুহ কে পরিচালনা করতে সহজ নীতিমালা প্রণয়নের কোন বিকল্প নেই।

 

বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নত নয়,পরিবেশ মানসম্মত নয় এক কথায় অকার্যকর বিধায় দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠি প্রায় ৫০-৬০ লক্ষ ছাত্র ছাত্রী এসব প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে।

 জার্মান শিক্ষাবিদ,দার্শনিক ফ্রোয়েবল কিন্ডারগার্টেন (শিশুদের বাগান) নামে যে শিক্ষা পদ্ধতি প্রবর্তন করেন তা হচ্ছে শুধু শিশুর দৈহিক ও মানসিক শক্তির জাগরন যেখানে যথাযত পর্যবেক্ষন করা হয় এবং এর মাধ্যমে  প্রয়োজনীয় তত্বাবধানে তাদের জাগিয়ে দেয়া হয় তাতে শিশুরা তাদের নিজস্ব প্রকৃতি,চরিএ ও জীবনের প্রকৃত বিকাশ সাধনে সমর্থ হয় এবং ঐ অবস্হায় নিজে নিজে শিক্ষা প্রাপ্ত হয় তখন সে শিক্ষা উন্নত এক জাতি গঠনে ভুমিকা রাখে।

শিশুরা বড় হবে শিক্ষার প্রভাবে,শিক্ষা তাদের জীবনে পূর্ণতা দিবে।দরকার শুধু যুগোপযোগী শিক্ষা।এ শিক্ষা পদ্ধতিকে স্বীকৃতি দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্হা কে নতুনভাবে সাজাতে হবে বলে বর্তমানে অনেকে মনে করেন।

 

সঠিক,সহজ নীতিমালা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করতে পারলে এ পদ্ধতি ঠিকে থাকবে ও জাতি বিশ্ব দরবারে মাথা তুলে দাড়াতে পারবো, অন্যত্রায় নয়।

ইতিমধ্যে কিন্ডার গার্টেন নিয়ন্ত্রণে নতুন বিধিমালা করা হয়েছে তা স্কুল পরিচালনার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা সৃষ্টি করবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।

 

 নীতিমালায় বলা হয়েছে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের যোগ্যতা বর্তমানে (স্নাতক) তা থাকতে হবে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের।

 এই সিদ্ধান্ত সঠিক ও যথাযত বলে সবাই মনে করেন তবে স্নাতক ডিগ্রী পাস ছাড়া সাধারণত কোন কিন্ডার- গার্টেনে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয় না। অন্যদিকে বলা হয়েছে বিদ্যালয় পরিচালনা ব্যবস্থাপনা কমিটি থাকবে আর উপজেলা/থানা শিক্ষা কর্মর্কতার মাধ্যমে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে  আবেদন করতে হবে। মহানগর,থানা/উপজেলা,ইউনিয়ন বাৎসরিক ১৫০০০/৫০০০/৩০০০ সহ নানা নিয়ম এই ব্যবস্থার কন্ঠরোধ করবে।অন্যদিকে যাচাই বাছাই করে তাঁরা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট পাঠাবেন।

তিনি চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিবেন।আবেদনের ৬০ দিনের মধ্যে তিনি সব প্রক্রিয়া শেষ করে সিদ্ধান্ত দিবেন প্রথমে এক বছর তারপর নবায়নের জন্য আবেদন এর পর ৩ বছর ও  নির্ধারিত ফি,নানা কৌশল প্রশাসনিক জটিলতা,ঘুষ বানিজ্য এশিক্ষা ব্যবস্থায় মুলত অন্ধকার নেমে আসবে।

 

  অনেকে নিরুৎসাহিত হয়ে স্কুল প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা থেকে এক সময় দুরে সরে যাবে।করোনাকালীন সময়ে

   অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে বর্তমানে এ ধরনের নীতিমালা আরোপ করা হলে অনেকের ইচ্ছে থাকলেও এ ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা পরিচালনা তারা আগ্রহ হারাবে।

  শুধু এখানে শেষ নয়,নিজের অর্থায়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

করে কখনও প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের

     কর্তাব্যক্তি ও তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যালয় পরিচালনা করবে যা অনেকের নিকট অগ্রহনযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

   এখানে ও নানা দূর্নীতি অনিয়ম চলতেই থাকবে যা বর্তমানে এই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সহ সর্বক্ষেত্রে সর্বত্র বিরাজমান।

অনিয়ম,দূর্নীতি যেখানে সর্বক্ষেত্রে ছেয়ে গেছে সেখানে ধীরে ধীরে এই শিক্ষা পদ্ধতির বিলুপ্তির মধ্যে দিয়ে দেশে লক্ষ লক্ষ বেকার সংখ্যা বেড়ে যাবে।

   প্রস্তাবিত নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে ব্যবস্থাপনা কমিটিতে প্রধান শিক্ষক,শিক্ষক প্রতিনিধি,অভিভাবক প্রতিনিধি,উদ্যোক্তা বা পরিচালক ২ জন বা ইউএনও 

বা তার ২ জন প্রতিনিধি,নিকটতম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থাকবে।

কমিটির মেয়াদ হবে ৩ বছর।বিদ্যালয়ে ছাত্র শিক্ষকের অনুপাত হবে ৩০:১।শুধুমাত্র পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান করা যাবে।একের অধিক ক্যাম্পাস থাকবে না।বেতন কমিটির আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারিত হবে।

 

যেখানে একটি বাড়ির একটি বা দুইটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে এ স্কুল গুলো করা হয় এবং মাসশেষে বাড়ির মালিকের ঘর ভাড়া ও কয়েক জন শিক্ষকের নামে মাত্র বেতন দিতে স্কুল উদ্যোক্তা অথবা পরিচালক হিমসিম খায় সেই ক্ষেত্রে সরকার কতৃক নীতিমালা কতটুকু কার্যকর ও বাস্তব সম্মত তা অবশ্যই বিবেচনা নিতে হবে।

 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে জানিয়েছে কিন্ডারগার্টেন সহ  (কেজি)  বেসরকারি বিভিন্ন স্কুল তত্ত্বাবধানের জন্য ২০১১ সালের বিধিমালাটি যুগোপ- যোগিতা হারিয়েছে ফলে অধিভুক্তি,রেজিস্ট্রেশন সহজ করতে নতুন বিধিমালা তৈরি করা হচ্ছে।

এই বিধিমালা মানা না হলে আইনের আওতায় আনা হবে বলে ও জানানো হয়েছে।বলা হয়েছে,ইচ্ছেমতো টিউশন ফি নির্ধারণ করা যাবে না।

এ ক্ষেত্রে উপজেলা/থানা/মহানগর শিক্ষা পরিচালনা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।

পুনঃভর্তি বা নবায়নের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অনুদান আদায় করা যাবে না। পঞ্চম শ্রেণির বিদ্যালয়ে কম পক্ষে ৬ জন শিক্ষক থাকতে হবে।

ঘর ভাড়া শিক্ষকের বেতন-ভাতাদি এসব বিদ্যালয় বহন করবে, সরকার করবে না।তাহলে ঘর ভাড়া,শিক্ষকদের বেতন,অনুমোদন,রেজিষ্টেশন,ফি পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত সব মিলিয়ে থানা, উপজেলা ইউনিয়নে কখনও এই ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঠিকে থাকা সম্ভব নয়।

সম্ভব হয়ত মহানগরের ২ একটি বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেখানে প্রায় ৫০০ শতাধিক বা হাজার ছাত্র ছাত্রী রয়েছে তারা ব্যতীত ১০০ বা ১৫০ জন ছাত্র ছাত্রী রয়েছে এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা কখনও পরিচালকদের পক্ষে সম্ভব নয় বলে বিজ্ঞজনরা মনে করেন।

তাহা ছাড়া অবকাঠামো বিষয়ে আরও বলা হয়েছে, বিদ্যালয় ভাড়া কিংবা স্থায়ী বাড়িতে হোক, মেট্রো - পলিটন এলাকায় অন্যূন দশমিক ৮ একর,পৌরসভায় দশমিক ১২ এবং অন্য এলাকায় দশমিক ৩০ একর ভূমিতে হতে হবে।

ভবন ও ভূমি ভাড়া নেওয়া যাবে তবে এ বিধিমালার আগে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ের ভূমির পরিমাণ কম হলে সে ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না।বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ, প্রধান শিক্ষকের কক্ষ এবং শিক্ষকদের কক্ষ থাকতে হবে।

বিদ্যালয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পাঠ্যবই অবশ্যই পড়াতে হবে।

সহশিক্ষা কার্যক্রম থাকতে হবে। ১৯৮৯ সালের জাতি সংঘ শিশু সনদের আলোকে শিশুর অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।এছাড়া প্রতিষ্ঠানে গ্রন্থাগার, বিশুদ্ধ পানি 

ও টয়লেট থাকতে হবে। শিক্ষা সফর, চিকিৎসা,খেলার ব্যবস্থা থাকতে হবে।এই সমস্থ অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা সরকারী স্কুলে নেই বা যেখানে  সরকার দিতে ব্যর্থ  সেখানে কিন্ডারগার্টেন উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠাতা পরিচালকদের পক্ষে বাস্তবায়ন কখনও সম্ভব নয়।

 

মুলত এই সব নীতিমালার মাধ্যেমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে এই শিক্ষাপদ্ধতিকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে এবং দেশে আরও বেকার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে শিক্ষা বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন। তারা আশা করেন নীতিমালা আরও সহজ করে তদারকি ব্যবস্থা জোরদার করে যেখানে সেখানে যত্রতত্র বিদ্যালয় না করে সুন্দর সুষ্ট নীতিমালার আলোকে এই শিক্ষা পদ্ধতি যেন বহাল থাকে এবং এর মাধ্যমে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি সহ সুনাগরিক  ও শিক্ষিত জাতি গঠনে যেন ভুমিকা রাখে সেই দিকে সবাইকে আন্তরিক ও সচেতন হতে হবে।

 

লেখক- মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম।

কবি, প্রাবন্ধিক ও গণমাধ্যমকর্মী।

তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সচিব

বিকেএ কেন্দ্রীয় কমিটি,ঢাকা।