চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলা ও দোহাজারী পৌরসভা এলাকায় গরু চুরির হিড়িক হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছেন চুরি হওয়া ৭টি গরুর মূল্য প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টাকা। এতে কৃষকরা আতংকীত হয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, গত ১০ নভেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ৩ ঘটিকায় কাঞ্চনাবাদ ইউপিস্থ ৭নং ওয়ার্ড, কাঞ্চননগর আব্বাস পাড়ার কোরবান আলীর ছেলে মোঃ রহমত আরী ও মৃত এজাহার মিয়ার সন্তান নাজিম উদ্দিনের ৭টি গরু তার মধ্যে মোঃ রহমত আলীর ২টি দেশীয়, যথা একটি বাদামী ও অপরটি লাল রংয়ের, শিং-৩ ইঞ্চি, দৈর্ঘ্য অনুমানত ৬ হাত গাভী গরু এবং ১টি ছোট শিংয়ের বাছুর আনুমানিক মূল্য ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা এবং নাজিম উদ্দিনের ৪টি গরু, যথা ৩টি দেশীয় গাভী গরু একটি বাদামী ও ২টি লাল রংয়ের এবং একটি বাদামী রংয়ের ষাড় গরু, শিং- আনুমানিক ৩ ইঞ্চি এবং দৈর্ঘ্য অনুমান ০৬ হাত, আনুমানিক মূল্য ৪ লক্ষ টাকাসহ মোট প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ টাকার গরু ছুরি সংগঠিত হয়েছে। বাড়ির গোয়াল ঘর থেকে রাতে চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দলরা। এঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা চন্দনাইশ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে, যার নং-৩১৫৬। বিশেষ সূত্রে জানাযায়, চন্দনাইশ উপজেলাধীন দোহাজারী পৌরসভার কিল্লাপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু ছুরি সংগঠিত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গরুগুলো অনেক খুঁজাখুজি করেও পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে গভীর রাতেই গরু গুলো চুরি হয়ে যায়। গরুগুলোকে অনেক কষ্ট করে লালন-পালন করেছে। তবে বর্তমানে সন্ধ্যায় শীত নামার সাথে সাথে শীত, শীতের কারণে এলাকায় বাড়ছে চুরি। এতে কৃষকরা আতংকের মধ্যে রয়েছে বলে গরুর খামারিরা জানান। এমনকি কেউ কেউ গরুর দড়ি পায়ের সাথে বেঁধে গরুর গোয়ালে ঘুমাচ্ছে। এরপরও কমছে না গরু চুরি। অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা এস আই উপেন বড়–য়া বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান- এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী তিন ব্যক্তিকে অস্ত্রধারী কিছু দুর্বৃত্ত বেধে রেখে গরু নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।