একই স্থানে বিএনপি ও যুবলীগ সভা আহ্বান করায় উত্তেজনা দেখা দেয়। এ নিয়ে দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে যে কোনো সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। যে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রোববার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে ১৪৪ ধারা জারি করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।
জেলা বিএনপি কার্যালয় সংলগ্ন সড়কে আজ সোমবার (৩ জানুয়ারি) বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে মহাসমাবেশ এবং একই সময়ে ৩০ গজ দূরে কক্সবাজার শহীদ মিনারে জেলা যুবলীগের বিজয় উৎসবের কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
তাই উদ্ভুত পরিস্থিতিতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রট মো. আবু সুফিয়ান।
ইতো মধ্যে মহাসমাবেশ আয়োজনকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সড়কে মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে। ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা।
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে কক্সবাজার শহীদ স্বরণি সড়কে আজ সোমবার দুপুর ১টায় এই সমাবেশ ডেকেছিল কক্সবাজার জেলা বিএনপি।
কক্সবাজার জেলা’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো.রফিকুল ইসলাম বলেন,সমাবেশকে ঘিরে বিএনপি ও যুবলীগ দুই পক্ষের অবস্থানের কারণে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তাই সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন।
এ সমাবেশে অংশ নিতে এরইমধ্যে কক্সবাজারে কেন্দ্রীয় নেতারা পৌঁছেছেন বলে কক্সবাজার জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক এড. শামীম আরা স্বপ্না জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
বিএনপি নেতারা বলছেন, তারা কক্সবাজার শহরে তিনটি স্থান মুক্তিযোদ্ধা পার্ক, ঈদগাহ ময়দান কিংবা কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ দৌলত ময়দানের যেকোনো একটিতে মহাসমাবেশ করার অনুমতি চেয়েও পাননি। তাই কার্যালয়ের সামনেই মহাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল সাংবাদিকদের জানান, এরইমধ্যে সোমবারের সমাবেশকে ঘিরে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। সকলকে অবহিত করেছি। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে প্রশাসন, আওয়ামী লীগসহ সকলে সহযোগিতা করবে সেটাই প্রত্যাশা করছি।