আজ শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

এ যেন এক যুদ্ধবিধ্বস্ত নগর

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : রবিবার ৯ জানুয়ারী ২০২২ ১২:৩২:০০ অপরাহ্ন | চট্টমেট্টো

চারিদিকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী, সারি সারি ইটের স্তুপ। ময়লা আবর্জনায় পরিপূর্ণ পুরো এলাকা। প্রথম দেখাতেই মনে হতে পারে এটি কোনও যুদ্ধবিধ্বস্ত নগর।

দীর্ঘ একমাস মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর এমনই অবস্থা চট্টগ্রাম আউটার স্টেডিয়ামের। বিশেষ করে পলিথিনের রাজ্য বললে বোধ করি ভুল হবে না। মেলা শেষ হয়েছে এক সপ্তাহ আগেই। এখন অপসারণ করা হচ্ছে এসব বর্জ্য। কিন্তু এখনও পুরোপুরি অপসারণ হয়নি পলিথিন।

 

মেলা শুরুর আগে যত তাড়াতাড়ি স্থাপনা গড়া হয়েছে, ততটাই ধীরগতি মাঠের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় চট্টগ্রামের একমাত্র খেলাধুলার স্থানের এমন দশা।

 

বর্ষা মৌসুমে পানি, আর বিভিন্ন সময় মেলার কারণে খেলাধুলা বন্ধ থাকে বছরের অর্ধেক সময়। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা এ মাঠটি রক্ষণাবেক্ষণ করলেও বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক চাপে নির্বাক থাকে সিজেকেএস।  

 

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মেলার মাঠে জমে থাকা পলিথিন ও অবকাঠামো সময়মতো অপসারণ না করার কারণে খেলতে পারছে না শিশুরা। এছাড়া পলিথিনগুলো বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে যত্রতত্র। এতে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।  

 

ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বছরজুড়ে খেলার চেয়ে মেলার আয়োজন থাকে বেশি। এই মেলা শেষ হওয়ার পর মাঠ খেলাধুলার উপযোগী করে তুলতে আর কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। ফলে খেলতে নেমে বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।

 

চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম বলেন, এই মাঠ থেকে অনেক তারকা খেলোয়াড় সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এটা যে খেলার মাঠ, সেটা ভুলে গিয়ে সবাই বরাদ্দ দেয়। এজন্য কাউকে দোষারোপ করছি না। তবে মাঠ নষ্ট করা কোনভাবেই কাম্য নয়।

 

তিনি বলেন, আমাদের নির্বাহী কমিটিতে এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। এই মাঠের চারিদিকে সীমানা প্রাচীর দিয়ে সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। মেলার স্থান অন্য জায়গায় নিয়ে গেলে মাঠটি রক্ষা পাবে।  

 

 

 

 



সবচেয়ে জনপ্রিয়