আজ সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ই পৌষ ১৪৩১

সেচ প্রকল্পের রাস্তা বন্ধ করে পাকা স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ চন্দনাইশে

মোঃ আয়ুব মিয়াজী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ | প্রকাশের সময় : সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২ ০৫:৫৩:০০ অপরাহ্ন | দক্ষিণ চট্টগ্রাম

 

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলা বরকল ইউপি'র ৭ নং ওয়ার্ডস্থ চামুদরিয়া খালের পাড়ে এলাকাবাসীকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে গায়ের জোরে পাকা দোকানের স্থাপনা নির্মাণ করে সেচ প্রকল্পের কার্যক্রম ও চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে এস এম ওয়াজুন্নবী (৫০) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা ওই পথ খুলে দেয়ার দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, একই এলাকার বাসিন্দা এস এম ওয়াজুন্নবী সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত পূর্ব পাঠানদন্ডী চামুদরিয়া ব্রীজের পশ্চিম পাশে চূড়ামনি সড়ক সংলগ্ন খালের পাড় জবর দখল করে ক্ষমতার দাপটের সাথে দোকানঘর নির্মাণ করে সেচ প্রকল্পের যন্ত্রঘরে যাতায়াতের একমাত্র পথ ও প্রায় ৩৫ পরিবারের চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তফা খাতুন, জান্নাতুন আরজু, নাঈম উদ্দিন, কুতুবউদ্দিন জানান- সরকারি খালের পাড়ে যুগ যুগ ধরে আমরা হেঁটে চলাচল করছি, এটা বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের অনেক ভোগাস্তি পোহাতে হবে। বর্তমানে বাড়িতে প্রবেশের পথ একেবারেই বন্ধ করে দেওয়ায় দৈনন্দিন কাজকর্মের জন্য ঘর থেকে বের হওয়া এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল আনা-নেওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় কোনো দুর্যোগ কিংবা দুর্ঘটনা ঘটলে, কেউ অসুস্থ হলে কোনো প্রকার অ্যাম্বুল্যান্স বা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি অথবা কোনো চিকিৎসক, উদ্ধারকর্মী যাতায়াত করতে পারবেন না। সেচ প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালনাকারী বাবুল মিয়া জানান, এতে ক্ষতিগ্রস্থ হবে দুইশত কৃষক। এই সেচ প্রকল্পের আওতায় বোরো মৌসুমে প্রায় ৪'শ একর জমি চাষাবাদ হয়, যদি চলাচলের পথ খুলে দেয়া না হয় তবে আগামীতে বোরো চাষ বন্ধ হয়ে যাবে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চূড়ামণি সড়কের পাশে খালের পাড়ে দোকান নির্মাণের নিমিত্তে মাটির উপর প্রায় চারফুট গাঁথুনি, পিলারের রড ও কাঠ দ্বারা চলাচলের পথ বন্ধ রাখা হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান জানান, সরকারি খালের পাড় খাস খতিয়ানভুক্ত জায়গা জোর পূর্বক দখল করায় মানুষের চলাচল ও চাষাবাদ ব্যাহত হবে, এই বিষয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাছরীন আক্তার জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়ে দোকান নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দিয়েছি, খাস জমি দখলের ব্যাপারে তদন্ত পূর্বক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সহকারী কমিশনার ভূমি কে নির্দেশনা দেয়া হয় এবং সেচ প্রকল্পের বিষয়টি বিএডিসি সেচ প্রকল্পের উপ সহকারী প্রকৌশলী কে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি আরোও জানান তদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।