মিরসরাইয়ে কথা কাটাকাটির জেওে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার ৮ নং দূর্গাপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের শিকারপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম ননী গোপাল দে (৭৫)। তিনি ওই গ্রামের দেওয়ানজি বাড়ির মৃত সুরেন্দ্র কুমার দে’র ছেলে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত লক্ষী দাশ ও তাঁর ছেলে রনি দাশকে আটক করেছে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ।
নিহতের ভাতিজা ইন্দ্রজিৎ দে জানান, সোমবার দুপুরে নিহত ননী গোপাল দে’র ছেলে তাপস কুমার দে এবং তার বন্ধুরা মিলে রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় গ্রামের কৃষি জমি বিক্রি করে শহরে বাড়ী নির্মাণ করা ভালো এমন মন্তব্য করেন। এসময় প্রতিবেশী গণেশ দাসের স্ত্রী লক্ষী দাস (৫০) কথাটি নিজের গায়ে নিয়ে তাদেরকে কটু কথা বলে এবং গালী দেয়। এঘটনার রেশ ধরে সন্ধ্যায় তাপসের পিতা ননি গোপাল বিষয়টি লক্ষী দাসকে জিজ্ঞেস করলে সে উত্তেজিত হয়ে ননি গোপালের সাথে বিবাদে লিপ্ত হয়। এসময় তাপস তার পায়ের জুতা লক্ষীর দিকে ছুড়ে মারলে তা লক্ষভ্রষ্ট হয়। পরে লক্ষী সে জুতা নিয়ে ননি গোপালের মাথায় আঘাত করে। এসময় চিৎকার করে তার ছেলে রনি দাসকে ডেকে আনে। রনিও তার পায়ের জুতা দিয়ে ননি গোপালকে আঘাত করে। একপর্যায়ে ননি গোপাল অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে স্বজনরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত চিকিৎসক রাজু সিংহ জানান, হাসপাতালে আনার পূর্বে ননি গোপাল মারা যায়। খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে লাশ থানায় নিয়ে যান এসআই মামুনুর রশিদ।
জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ নুর হোসেন মামুন বলেন, লাশের ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় নিহত ননী গোপালের ছেলে তাপস কুমার দে বাদি হয়ে লক্ষী দাশ ও তাঁর ছেলে রনি দাশকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অভিযুক্ত আসামীদের আটক করা হয়েছে।