তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেন, “এই দেশ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে রচিত হয়েছে। এই দেশ রচনার পিছনে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রাম করে, লড়াই করে, জীবন দিয়েছে কিন্তু মাঝেমধ্যে দেশে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়ানোর চেষ্টা চালানো হয়। এই ব্যাপারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।”
আজ শনিবার (২২ জানুয়ারি) বিকালে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের পদুয়া সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহার চত্বরে আয়োজিত বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি ও বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার ২৮তম সংঘনায়ক একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রয়াত শুদ্ধানন্দ মহাথেরো’র স্মৃতিচারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এদিন, শুদ্ধানন্দ মহাথেরো’র মরদেহ নিজ জন্মভূমি রাঙ্গুনিয়ার পদুয়ায় আনয়ন উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা শুদ্ধানন্দ মহাথেরোকে শ্রদ্ধা করতেন। তাঁকে একুশে পদকে ভূষিত করেছিলেন। একুশে পদক তাঁদেরকেই দেওয়া হয় যারা দেশের জন্য, সমাজের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য অবদান রাখেন। তিনি এদেশ, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য অবদান রেখেছেন বলেই তাকে এই পদকে ভূষিত করা হয়েছে।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার ২৯তম সংঘনায়ক বনশ্রী মহাথেরো। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, বুদ্ধকীর্তি ভিক্ষু, সুনন্দ মহাথেরো, জ্ঞানানন্দ মহাথেরো, অভয়ানন্দ মহাথেরো, ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া, মানু বড়ুয়া, রঞ্জন বড়ুয়া, প্রকৌশলী বিকাশ বড়ুয়া প্রমুখ।
শুদ্ধানন্দ মহাথেরো’র স্মৃতিচারণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “শুদ্ধানন্দ মহাথেরো বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় গুরু হলেও তিনি সকল সম্প্রদায়ের মানুষের শ্রদ্ধাভাজন মানুষ ছিলেন। ৮টি প্রতিষ্ঠান তিনি নিজে প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং বহু প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার সাথে তিনি যুক্ত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।”